• ধান কেনায় সাত মাসের মধ্যেই টার্গেটের মুখে উত্তর ২৪ পরগনা
    বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চলছে খরিফ মরশুমে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা। প্রথম দিকে চাষিরা ধান বিক্রিতে অনীহা দেখালেও পরবর্তীকালে তাঁদের উৎসাহ বেড়েছে। তাই ধান কেনার টার্গেট পূরণের কাছকাছি পৌঁছে গিয়েছে জেলার খাদ্যদপ্তর। সব মিলিয়ে জেলায় খরিফ মরশুমের মাঝামাঝি সময়ে ৮৫ শতাংশ টার্গেট পূরণ হয়ে গিয়েছে। আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি অংশ পূরণ হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন। ২ মে শুরু হবে সরকারিভাবে বোরো ধান কেনার কাজ।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে রাজ্যজুড়ে চাষিদের কাছ থেকে খরিফ মরশুমের ধান কেনা শুরু হয়েছে। তবে, প্রথম দিকে চাষিদের ধান বিক্রির প্রবণতা সেভাবে ছিল না। কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমন ধান উঠতে দেরি হয়েছিল। ধান কেনায় গতি আসে নভেম্বরের শেষ দিকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয় সচেতনতার প্রচার। তারপর ধান বিক্রিতে উৎসাহ বাড়ে। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো এই জেলাতেও খরিফ মরশুমে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়। রাজ্য সরকার প্রতিবার বেনফেড, কনফেড কিংবা নাফেডের মাধ্যমে ধান কিনে থাকে। তবে এবার ডব্লুবিইসিএসসির মাধ্যমেও ধান কিনেছে সরকার। তাছাড়াও ধান বিক্রিতে চাষিদের উৎসাহিত করতে বিভিন্নভাবে প্রচার করা হয়।

    দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার খরিফ মরশুমে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টার্গেট ছিল ৪ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা। ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৫৬ মেট্রিক টন ধান কিনে ফেলেছে জেলার খাদ্যদপ্তর। মাত্র সাত মাসেই ৮৫ শতাংশ ধান কেনা হয়েছে জেলায়। সেই ধান পৌঁছে গিয়েছে রাইস মিলে। সেখান থেকে মোট ধানের ৭৭ শতাংশ চাল আকারে জেলার খাদ্য নিয়ামক দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছে। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই চাল মানুষকে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ধানের সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টালে প্রায় ১৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গতবার কুইন্টাল পিছু এই দাম ছিল ২,১৮৩ টাকা। এবার তা হয়েছে ২,৩০০ টাকা। এনিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, এই জেলায় সিপিসি খোলা হয়েছে। সেখানে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। এছাড়াও সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং এফপিও থেকেও ধান কেনা হচ্ছে। ওজন যাতে স্বচ্ছ হয়, তার জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস যন্ত্রও যুক্ত আছে। ২ মে থেকে বোরো ধান কেনা শুরু হবে। এনিয়ে জেলার এক কর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ গাড়ি বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা চাষিদের উৎসাহিত করেছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)