নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। কিন্তু তা ‘দখল’ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রতীক্ষালয়টি কালো কাচ দিয়ে ঢেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মেশিনও বসানো হয়েছে। ফলে, যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি সাধারণ মানুষ আর ব্যবহার করতে পারে না। ঘটনাটি বারাসত ২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতের দাদপুর বাজার এলাকার। বিষয়টি নিয়ে বারাসত ২ বিডিওর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শাসন থানার দাদপুর পঞ্চায়েতের কদম্বগাছি-কৃষ্ণমাটি রোডে দাদপুর বাজার এলাকায় বছরখানেক আগে তৈরি হয়েছিল একটি সরকারি যাত্রী প্রতীক্ষালয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা বারাসত ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি মল্লিক নিজের ক্ষমতা কায়েম করে সেটিকে একপ্রকার দলীয় কার্যালয় বানিয়ে তুলেছেন! বসানো হয়েছে এসি। ফলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি যে উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল, সেটাই আর হচ্ছে না। দিনের অধিকাংশ সময়ে দরজা বন্ধ থাকে ‘বিলাসবহুল’ এই প্রতীক্ষালয়ের।
কয়েকমাস আগেও এই প্রতীক্ষালয়টি দখল করার অভিযোগ উঠেছিল আসেরের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীদের এমন অভিযোগের পরই পদক্ষেপ করেছিল ব্লক প্রশাসন। এসি খুলিয়ে, ভিতরের থাকা টিভি, চেয়ার সরিয়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ফের সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে ফের এসি বসিয়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়টিকে পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলি বলেন, যাত্রী প্রতীক্ষালয় উন্মুক্ত থাকে। কিন্তু এখানে তা নয়। সব সময়ে তা বন্ধ। রয়েছে এসি। তৃণমূল নেতা আসের আলি মল্লিক এই প্রতীক্ষালয় একপ্রকার দখল করে নিয়েছেন। আমরা চাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে এটা খুলে দেওয়া হোক। তাই বিডিও’র দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে আসের আলি মল্লিক অবশ্য বলছেন, যাত্রী প্রতীক্ষালয় দখলের কোনও বিষয় নেই। এরপর তাঁর সদর্পে দাবি, আমি জনপ্রতিনিধি। তাই মানুষের স্বার্থের জন্যই আমি নিজের টাকায় ওখানে এসি বসিয়ে দিয়েছি। এটা যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে এই অন্যায় আমি বারেবারে করব। আসলে আমাকে কালিমালিপ্ত করতেই এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বারাসত ২ নম্বর বিডিও শেখর সাঁই বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। - নিজস্ব চিত্র