রাস্তায় ইমারতি সামগ্রী ও জঞ্জালের স্তূপ, ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত বারাসতে
বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসত শহরে আবর্জনার সমস্যা দীর্ঘদিনের। নর্দমা থেকে তোলা পলি ও আবর্জনা স্তূপাকৃতি করে রাখা হয় রাস্তার উপরেই। ফলে শহরের রাস্তা ক্রমশ হয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণ। যাতায়াত করতে গিয়ে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে নাগরিকদের। তার উপরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকছে ইমারতি সামগ্রীও। প্রোমোটাররা রাস্তার ওপরেই ফেলে রাখছেন ইট, বালি থেকে সব কিছু। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।
যতদিন যাচ্ছে ততই জেলা সদর বারাসতে জনসংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাইরে থেকে মানুষ এখানে এসে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। আর সমান তালে তৈরি হচ্ছে বড় বড় বহুতলও। প্রোমোটাররা ওয়ার্ডের ভিতরের গলি বা মূল সড়কের পাশেই ফেলে রাখছেন বিভিন্ন ইমারতি সামগ্রী। দিনের পর দিন ধরে ইট, বালি বা স্টোন চিপস পড়ে থাকছে রাস্তায়। ফলে সাইকেল বা মোটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করাও দুষ্কর হচ্ছে। এমনকী ফুটপাত দখল করেও এই সমস্ত সামগ্রী রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
পাশাপাশি বারাসত শহরের নর্দমার আবর্জনা পরিষ্কার করে তা তুলে না নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে রাস্তার উপরেই। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন পথচারীরা। ইমারতি দ্রব্য ও জমা করা আবর্জনা– এই সাঁড়াশি চাপে মানুষের চলা দায় হয়ে গিয়েছে শহরে, খেদ নাগরিকদের। চাঁপাডালি মোড় এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক নবীন গাঁয়েন বলেন, অটো বা টোটোর দাপাদাপি শহরে তো আছেই। তার ওপর রাস্তা দখল করে ইমারতি সামগ্রী ও নোংরা ফেলে রাখা হচ্ছে দিনের পর দিন। মানুষ যাবে কোন দিকে? চাঁপাডালি থেকে ব্রিজ ধরে হরিতলা যাওয়ার রাস্তার অবস্থা দেখলে যেতে ভয় লাগে। দুর্ঘটনা কেবল সময়ের অপেক্ষা। প্রশাসনিক কর্তা থেকে জনপ্রতিনিধিদের হুঁশ নেই। ভাটরাপল্লির বাসিন্দা হিমাদ্রিশেখর বললেন, মধ্যমগ্রামে রাস্তা দখল হঠাতে তৎপর পুরসভা। কিন্তু সেই জায়গায় বারাসত শীতঘুমে। যেভাবে দিনের পর দিন সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে, বলার কিছু নেই।
এ বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, নর্দমার আবর্জনা রাস্তার উপর রাখা হচ্ছে শুকনোর জন্য। তারপর তা তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ইমারতি সামগ্রী মানুষ যাতে রাস্তায় না রাখে, তার জন্য আমরা মাইকিং করি। তারপরেও সরানো না হলে পুরসভা ব্যবস্থা নিচ্ছে। এনিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বারাসতে। বড় বড় প্রোমোটিংয়ের ক্ষেত্রে শহরের কোনও না কোন তৃণমূলের কেষ্টবিষ্টু রয়েছেন। তাই মুখ খোলা দায়। না হলে খোদ সদর শহরের এই অবস্থা হয়! - নিজস্ব চিত্র