• আজ়াদ কি আসলে পাক চর? মিলল ২০ হাজার পাতার নথি
    এই সময় | ০৯ মে ২০২৫
  • এই সময়: ভারত–পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি নাগরিক আজ়াদ মল্লিকের গতিবিধি নিয়ে রহস্য বাড়ছে। পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে আজ়াদের যোগাযোগের বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    অভিযুক্তের মোবাইল থেকে প্রায় ২০ হাজার পাতার সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ছবি। এ সব খতিয়ে দেখার পরে আজ়াদের ভূমিকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে চলে এসেছে।

    প্রায় ১৩ বছর ধরে পরিচয় ভাঁড়িয়ে ভারতে রয়েছেন আজ়াদ। বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়ে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে চোরাপথে সীমান্ত দিয়ে এ রাজ্যে ঢোকেন তিনি। এর পর, দালাল মারফত ভুয়ো নথির সাহায্যে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। পরে সেই নথির ভিত্তিতেই নিজের পাসপোর্ট বানিয়ে ফেলেন।

    পরবর্তী ক্ষেত্রে ভুয়ো নথি এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির কারবার ফেঁদে বসেন অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার হওয়ার পরে আজ়াদের আসল পরিচয় সামনে আসে।

    প্রাথমিক ভাবে প্রতারণার মামলা শুরু হলেও জাল পাসপোর্ট–কাণ্ডে ধীরে ধীরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে গোয়েন্দাদের। কী উদ্দেশ্যে তিনি এখানে এত ঝুঁকি নিয়ে এসেছিলেন, সে বিষয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে একাধিক বিষয় জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বিরাটি থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে গত দু’সপ্তাহ ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    সূত্রের খবর, আজ়াদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেখান থেকেই ২০ হাজার পাতার সন্দেহজনক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার কলকাতা নগর ও দায়রা আদালতে দাবি করেছেন ইডির আধিকারিকরা।

    তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ওই নথি ছাড়াও পাসপোর্ট বানানোর জন্য প্রচুর ছবি পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ‘ভয়েস রেকর্ড’–ও। সেগুলো খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে, ওই কথোপকথন হয়েছে সাঙ্কেতিক ভাষায়। সেই সব ইনফরমেশন ডিকোড করা হচ্ছে।

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে থাকলেও নানা উপায়ে আজ়াদ পাকিস্তানে যোগাযোগ রাখতেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যেখানে আজ়াদকে যুক্ত করা ছিল। এ সব নথি দেখিয়ে তাকে জেরা করতে আদালতে ৫ দিনের হেফাজতের আবেদন করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পরে ১৩ মে পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Link to this news (এই সময়)