সোমনাথ মাইতি, দিঘা
জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে মন্দির-সহ সৈকত শহর দিঘাকে নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। তবে উদ্বোধনের পর প্রায় আট দিন কেটে গেলেও নতুন করে পর্যটক সমাগম শুরু হয়েছে দিঘায়। রাজ্যের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়েছে।
তাই সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি, নতুন মন্দির চাক্ষুষ করার জন্য ভিড় বাড়ছে। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরে গত কয়েকদিনে পুলিশি নিরাপত্তা ও নজরদারির কড়াকড়ি কিছুটা কমলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
প্রশাসন সরাসরি কিছু না বললেও স্থানীয় লোকজনের একটা বড় অংশের ধারণা, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে এ রাজ্যের সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্যের মধ্যে বিতর্কের অবসান এখনও হয়নি। এই বিতর্কের পাশাপাশি দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জেরে যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতেই দিঘা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন।
উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন মন্দিরে। মন্দির চত্বরে সিসি ক্যামেরার নজরদারির পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে জগন্নাথ মন্দির পুলিশ পোস্টের পুলিশ। মন্দিরে প্রবেশের সব গেটে রয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। এ ছাড়া, দর্শনার্থীদের ম্যানুয়াল চেকিংও করা হচ্ছে।
স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় মন্দির দেখতে পর্যটকদের সংখ্যাও বেড়েছে। দিঘা মোহনা ও দিঘা থানার পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি বা পুলিশ পোস্ট পুলিশ কর্মীরা পর্যটন শহরের নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে।
তবে শুধু জগন্নাথ মন্দির চত্বর নয়, দিঘা সংলগ্ন রাজ্য সীমানায় ২৪ ঘণ্টা নাকা চেকিং চলাচ্ছে পুলিশ। চেকিং করা হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়িতে, সমুদ্র সৈকতেও।
ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) আবুনুর হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দিঘা–সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার আলাদা করে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। তবে নজরদারি চালানো হচ্ছে, পর্যটক ও সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু মন্দির দেখার জন্য পর্যটকদের পাশাপাশি হাজার হাজার স্থানীয় মানুষ প্রতিদিন মন্দিরে ভিড় জমাচ্ছেন। যে কারণে পুলিশ নজরদারি চালালেও পর্যটকদের নিজেদের সতর্ক হতে হবে। কারণ, এই সময় সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ে। নজরদারির জন্যো সাতটি স্পিডবোট ও নুলিয়ারা নজরদারি চালালেও নিজেদের সতর্ক হতে হবে সবার আগে। তা না হলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব নয়।’