মিল্টন সেন,হুগলি: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ভাতৃত্ব অটুট রাখতে রাখি বন্ধন উৎসবের প্রচলন করেছিলেন। কবির দেখানো পথেই ছড়িয়ে দেওয়া হল সম্প্রীতির বার্তা। জাতীয় পতাকা হাতে, পালন করা হল রাখি বন্ধন উৎসব।
ভারত পাকিস্তান সংঘাত আবহ। চলতি এই সময়ে সমগ্র দেশবাসীর এক থাকার সময়। সময় সম্প্রীতি বজায় রাখার। সেই কথাই বলেছে দেশের সরকার এবং বিরোধী দল সবাই। শুক্রবার ভোরে রথতলা থেকে চুঁচুড়ার সৃষ্টি নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হয় পদযাত্রা। শহর প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা পৌঁছয় চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে। কবির মূর্তিতে মাল্যদান করে শুরু হয় রাখি বন্ধন উৎসব।
পথ চলতি মানুষকে রাখি পরানো হয়। উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার পুর পারিষদ সদস্য জয়দেব অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, 'যুদ্ধ চলছে। এখন সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রিত থাকার সময়। ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য থাকলে তবেই শত্রুরা ভয় পাবে। বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দিয়েছিল ভারত। এবারও সময় হয়েছে বুঝিয়ে দেওয়ার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পরিনাম কী ভয়ঙ্কর হতে পারে।'
প্রতিবছর সৃষ্টির তরফে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে ছাত্রীদের নিয়ে নৃত্য সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবছর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেসব বাতিল। এদিন ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে সংহতি পদযাত্রা এবং রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়।ছবি পার্থ রাহা।