• বাণিজ্যিক ভবনে কড়া নির্দেশিকা পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ মে ২০২৫
  • সম্প্রতি শহরে একাধিক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ দফা কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ছাদ, সিঁড়ি ও করিডোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে স্টোরেজ বা গোডাউনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি রুফটপ এলাকাও ভাগ করে ব্যবহার বা বিক্রি করা যাবে না। এসব কারণেই জরুরি সময়ে প্রস্থানের পথ বাধাপ্রাপ্ত হয়, যার ফলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করছে নগরোন্নয়ন দপ্তর।

    নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কোনও বাণিজ্যিক ভবনের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘ওবিপিএএস’ সিস্টেমে (অনলাইন বিল্ডিং পারমিশন) অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও বাধাহীন প্রস্থানপথ বাধ্যতামূলক হবে।

    রাজ্যের তরফে সব পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে, পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া অন্যত্র কমপক্ষে ৯ মিটার প্রশস্ত প্রবেশপথ থাকতে হবে। সল্টলেক ও নবদিগন্ত টাউনশিপে প্লট সাইজ ৮ হাজার স্কোয়ার ফিটের কম হলে অনুমতি মিলবে না।

    ছাদে প্রবেশের সুযোগ খোলা রাখতে হবে। সেখানে কোনও বাধা বা রূপান্তর চলবে না। করিডোর, সিঁড়ি, বারান্দা, র‍্যাম্প সবসময় পরিষ্কার ও আলোকিত রাখতে হবে। লিফট বা এস্কেলেটরকে প্রস্থানপথ হিসেবে ধরা যাবে না। ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্ট অনুযায়ী লিফট লবি ও শাফ্ট প্রস্তুত করতে হবে।

    বেসমেন্টে কমপক্ষে দুটি প্রস্থানপথ রাখতে হবে। সিঁড়ি বা করিডোর মালপত্রে আটকে রাখা চলবে না। ট্রান্সফর্মার রাখতে হবে খোলা জায়গায়, যাতে অন্তত ৪ মিটার প্রস্থানপথ রাখা যায়।

    রুফটপ, খোলা ছাদ, টেরেস বিক্রির অনুমতি বা মিউটেশন অনুমোদন দেওয়া যাবে না বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়। ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও ভবনের অনুমোদন দেওয়া চলবে না।

    নগরোন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশ, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত বিল্ডিং নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)