জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে ধৃত আজাদের সঙ্গে পাক যোগের প্রমাণ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ মে ২০২৫
জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে বিরাটি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল আজাদ। প্রথম থেকে নিজেকে বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিলেও ইডি তদন্ত করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল আজাদ আসলে পাক নাগরিক। তাঁর বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এবার তাঁর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখে তাঁর সঙ্গে যে পাক যোগ স্পষ্ট তা নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁরা আজাদের মোবাইল থেকে ২০ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি, পাসপোর্ট তৈরির প্রচুর ছবি এবং ভয়েস রেকর্ড উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রের খবর, আজাদের মোবাইল থেকে প্রচুর ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বহুজনের সঙ্গে ফোন ও চ্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত আজাদ। ওই কন্ট্যাক্টগুলির আইএসডি নম্বর পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। একাধিক সন্দেহজনক হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপেও তিনি রয়েছেন। অনেক ভয়েস রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজাদ কার সঙ্গে কি কথা বলেছেন? অথবা তাঁর কোনও পরিকল্পনা ছিল কিনা সেই নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা এই সব নথি, চ্যাট, ভয়েস রেকর্ডগুলি খতিয়ে দেখে আজাদকে জেরা করতে চায়। তাই তাঁকে পাঁচদিন হেফাজতে চেয়েছে ইডি।
জানা গিয়েছে, জাল পাসপোর্ট তৈরি বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা মজুরি নিত আজাদ। সেই টাকা কিছুক্ষেত্রে বাংলাদেশেও যেত। এ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসের কোনও যোগ আছে কিনা সেই দিকটি বিশেষ ভাবে দেখা হচ্ছে। তাঁকে জেরা করে দেখা গিয়েছে, বাংলা ভাষা সে বুঝতে পারলেও সঠিকভাবে বলতে পারে না। তদন্তকারী আধিকারিকদের বেশ কিছু বিষয় সন্দেহ দানা বাঁধছে। অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছে ধৃত আজাদ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুপ্তচর হলে এই ধরণের আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাই রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ধৃত আজাদ মল্লিক বহুজনকে ভুয়ো নথি দিয়ে জাল পাসপোর্ট এবং ভিসা বানিয়ে দিয়েছেন। এই কাজের বিনিময়ে তিনি লক্ষাধিক টাকা নিতেন। পাসপোর্ট তৈরির জন্য কমপক্ষে আড়াই লক্ষ টাকা ছিল তাঁর মজুরি। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ২৫০ জনের ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করেছেন আজাদ। এই সংখ্যা বেড়ে ৫০০-ও হতে পারে মনে করা হচ্ছে।