চলতি মাসেই বাংলার বাড়ির টাকা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা, তবে শর্তসাপেক্ষে
প্রতিদিন | ০৯ মে ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় লপ্তের টাকা দেওয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য। চলতি মাসেই সেই টাকা পৌঁছে যাবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে। বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে সেই টাকা প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে। নবান্নসূত্রে খবর, যে সমস্ত উপভোক্তার বাড়ি লিনটেল বা লিনটন পর্যন্ত হয়েছে, তাঁরাই কেবল দ্বিতীয় লপ্তের টাকা পাবেন। সেই তালিকায় ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার উপভোক্তা রয়েছে। চলতি মাস থেকেই বাড়ি বানানোর সেই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকা শুরু হবে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম লপ্তের ৬০ হাজার টাকা গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে দেওয়া শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা দিয়ে ঘরের লিনটন পর্যন্ত বানানোর কথা। এই ধাপে যারা টাকা পাচ্ছেন না সেই বাকি চার লক্ষ উপভোক্তা যাতে লিনটন পর্যন্ত বাড়ি তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করেন, তার জন্য নিয়মিত তদারকিও করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, ধরা যাক এক পাড়ায় দুই উপভোক্তা রয়েছেন। একজন লিনটন পর্যন্ত করেছেন, আর দ্বিতীয়জন করেননি। সেক্ষেত্রে প্রথমজন টাকা পাবেন। দ্বিতীয়জন এখনই পাবেন না। আর যখন পাবেন না, তখন দ্বিতীয়জনও টাকা পাওয়ার জন্য দ্রুত লিনটন পর্যন্ত কাজ শুরু করবে।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের নিজস্ব খরচে বাংলার প্রান্তিক মানুষের জন্য বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক-এক জনকে দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১২ লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের জারি করা ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ অনুযায়ী, লিনটন পর্যন্ত কাজ এগোলে তবেই একজন উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। প্রায় আট লক্ষ উপভোক্তা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “ঠিক কবে থেকে এই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে তার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনও। তবে পঞ্চায়েত দপ্তর তৈরি। চলতি মাসেই যাতে এই টাকা দেওয়া হয়, তার তদারকি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই এই অর্থ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।”