হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সেনা। পাল্টা একের পর এক কড়া জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বারবার পাকিস্তান ব্যর্থ হলেও দমেনি। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নানা জায়গায় গোলাগুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। আর তার জেরে বারামুলা জেলার উরিতে পাকিস্তানের ছোড়া গোলার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আজ, শুক্রবার আবার জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিয়ে সাম্বায় নিকেশ করা হয়েছে ৭ জঙ্গিকে। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নিরাপত্তা অনেকটা বাড়ানো হল। একই সঙ্গে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিধানসভার সব কর্মীর ছুটি বাতিলের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হল। আজ এই কথা জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে তখন গাড়িতেই আছড়ে পড়ে পাকিস্তানের ছোড়া শেল। তার জেরে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। তখন তাঁকে বারমুলায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও উরির কাছে রামপুরে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ জারি আছে। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা আসলে জইশ–ই–মহম্মদের সদস্য। পাকিস্তানের মাটিতে থাকা লঞ্চপ্যাড ব্যবহার করে ভারতে ঢুকে নাশকতা করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা বলে সূত্রের খবর। আর ছুটি বাতিল করে দিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অযথা আতঙ্কিত হবেন না।’
অন্যদিকে আজ ভোর ৫টার সময় কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণরেখায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। যে সময়ে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয় তখন জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর এবং অন্যান্য সেক্টরগুলিতে পাকিস্তানের সেনা পরপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল। আর বিধানসভার নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘অযথা আতঙ্কিত হবেন না। প্রত্যাঘাতের প্রভাব বাংলা পর্যন্ত হয়তো আসবে না। তবে আমরা নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি রাখতে চাই না। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
এছাড়া পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ, লাহোর, শিয়ালকোটে কড়া জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের অধীনে সমস্ত পাকিস্তানের ড্রোনগুলিকে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সুতরাং গোটা দেশে এখন যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘পরিস্থিতি বিশেষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মীদের ছুটিও বাতিল করা হল।’ আর রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজ্যের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। যদি তেমন কিছু হয় এবং যদি আগে থেকে জানতে পারি তাহলে মানুষকে আমরা জানাবো।’