• যাত্রীদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ডাকাতি, খাস কলকাতার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ মে ২০২৫
  • একেবারে ফিল্মি কায়দায় খাস কলকাতায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে পুলিশের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। কারণ ওই ডাকাতদল জোর করে ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে। আর তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি ডাকাতি করে চম্পট দেয়। ভরদুপুরে খাস কলকাতার বুকে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। তারপর চারদিকে খোঁজ করে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ২৯ লক্ষ টাকা। আড়াই কোটি টাকা সম্পূর্ণ উদ্ধার করা যায়নি। তবে চেষ্টা করছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে গত ৫ মে। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ডাকাতির মুখে পড়ে সর্বস্ব কেমন করে খোয়া গিয়েছিল তা সম্রাট ঘোষ পুলিশকে জানিয়ে দেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, গত ৫ মে সাড়ে ১১টা নাগাদ ট্যাক্সিতে করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পার্ক সার্কাস শাখায় টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন সম্রাট ঘোষ এবং তাঁর এক সহকর্মী। পথে আরও দু’‌জন ব্যক্তি জোর করে তাঁদের ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে বলে অভিযোগ। তারপরই তাঁদের কাছে থাকা ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে চম্পট দেয় ওই দু’‌জন ডাকাত।


    এই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সম্রাট ঘোষ। সম্রাট ঘোষ ও তাঁর সহকর্মী একটি বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংস্থায় কাজ করেন। সেই সুবাদেই এই বিরাট অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্কে রাখতে যাচ্ছিলেন। এই কাজই করে থাকেন তিনি। এই টাকা তাঁর নিজের নয়। তাই তিনি বাড়তি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। ডাকাতির পর সম্রাটবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর তদন্তে নেমে নানা জায়গা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ডাকাতদের নাম—সঞ্জীব দাস ওরফে পচা, মহম্মদ সারফারজ ওরফে সোনু, রিজু হাজরা, শেখ শাহরুখ ও আলমগীর খান।

    পুলিশ প্রথমে সঞ্জীব দাসকে ম্যারাথন জেরা করে। তারপর জানতে পারে, সঞ্জীব তার বন্ধু শৈলেনের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা লুকিয়ে রেখেছে। এই তথ্য হাতে পেয়েই বৃহস্পতিবার বারুইপুরের সুভাষগ্রামে শৈলেনের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান তল্লাশি চালিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবারই আলমগীরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়িতেও বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রাখা আছে। তিলজলায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার কোথায়?‌ এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। তাই তদন্তে জারি রেখেছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)