আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল বাঁকুড়ার একটি স্কুল। কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণেই চালু হলো ‘ফ্রি বুক ব্যাঙ্ক’ পরিষেবা। শুক্রবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পরিষেবা চালু করেন।
কেন ‘ফ্রি বুক ব্যাঙ্ক’ পরিষেবা?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, সেই স্কুলে পড়া অনেক ছাত্রছাত্রীর পরিবারে তেমন আর্থিক সচ্ছলতা নেই। তাই পাঠ্য বই ছাড়া অনেক পড়ুয়াই বাইরে থেকে বই কিনতে পারে না। ভবিষ্যতে যাতে তাদের পড়াশোনায় আর কোনও অসুবিধা না হয়, সেই সব কথা মাথায় রেখে এমন উদ্যোগ। ‘ফ্রি বুক ব্যাঙ্ক’ পরিষেবার পোশাকি নাম রাখা হয়েছে ‘উত্তরণ’।
‘ফ্রি বুক ব্যাঙ্ক’ পরিষেবা পেতে মানতে হবে এই শর্ত
শুক্রবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন বিদ্যালয়ে পথ চলা শুরু হলো ‘উত্তরণ’-এর। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য বই সংগ্রহ করতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। তা হলো, পড়ুয়ারা যে বই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে, সেই বই পড়া শেষ করে তারা যেন আবার জমা করে যায়।
‘ফ্রি বুক ব্যাঙ্ক’ পরিষেবা পেয়ে কী বলছে পড়ুয়ারা?
২০২৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বৃষ্টি রায়ের কথায়, ‘সমস্ত পাঠ্য বই জোগাড় হলেও পরিবারে আর্থিক সমস্যার কারণে কোনও সহায়িকা বই কেনা সম্ভব হয়নি। এখানে এসে সহায়িকা বই পেয়ে খুব খুশি হলাম। এর পর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অনেকটা সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে পরীক্ষার রেজ়াল্টও অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।’
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘অর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই এই পরিষেবা চালু করা হলো। আমরা চাই ভবিষ্যতে যাতে প্রত্যেকে নতুন ও পুরোনো বই দিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়।’