• কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের দেওয়া হল সামার কিট
    আজকাল | ১০ মে ২০২৫
  • মিল্টন সেন,হুগলি:  শীত-গ্রীষ্ম বারোমাস থাকতে হয় রাস্তায়। সেটা তীব্র রোদ হোক বা কনকনে ঠান্ডা বা ঝড় জল উৎসব অনুষ্ঠান সবেতেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিউটি করতে হয় ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের। চলতি সময়ে দাবদাহে নাজেহাল পথচলতি মানুষ। বেলা গড়ালে রাস্তায় বের হওয়া দায়। অথচ এই তীব্র গরমেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশরা।

    তীব্র দাবদাহের হাত থেকে ট্রাফিক পুলিশদের কিছুটা রেহাই দিতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো সামার কিট। শুক্রবার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে চুঁচুড়া পুলিশ লাইনে চুঁচুড়া ও চন্দননগর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ, হোমগার্ড এবং সিভিক কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ছাতা, সানগ্লাস, গ্লুকোজ, জলের বোতল এবং ও.আর.এস ইত্যাদি।

    সামার কিট তুলে দিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। উপস্থিত ছিলেন ডিসিপি চন্দননগর আলকনন্দা ভাওয়াল, ডিসি হেডকোয়ার্টার ঈশানি পাল, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মান্দাতা সাউ সহ পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তীব্র গরমে ডিউটি করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। তারা যাতে গরমে কিছুটা স্বস্তি পায় সেকথা মাথায় রেখেই এই কিটগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল। 

    এদিন প্রায় পঞ্চাশ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কিট। বাকি সকলকেও এই কিট দেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশের হাতে ও.আর.এস যাতে প্রতিদিন দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে, সঙ্গে জলের বোতল দেওয়া হবে। যেখানে জলের সমস্যা আছে, সেখানে জলের জারও দেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশদের হাতে সানগ্লাস তুলে দেওয়া হয়েছে। তীব্র রোদে এটা ব্যবহার করলে চোখেও কিছুটা স্বস্তি পাবে। যদি ডিউটি করার সময় শরীর খারাপ লাগে তাহলে একটু ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেবেন। ডিউটি করার সময় নিজের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখার কথা বলেছেন পুলিশ কমিশনার। 
  • Link to this news (আজকাল)