• 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কামানোর জায়গা', রবীন্দ্রভারতীতে গিয়ে ব্রাত্যর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সুকান্ত 
    আজ তক | ১০ মে ২০২৫
  • রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক অচলাবস্থা নিয়ে এবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের পর তিনি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

    রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে চলা সংঘাতকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, “এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্য সরকার এবং গভর্নরের মধ্যে অচল অবস্থা চলছে। যেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে আমার মনে হয়।”

    রবীন্দ্র জয়ন্তীতেও অনুদানের টানাপোড়েন
    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বছর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল মঞ্চে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়নি, যা রীতিমতো ব্যতিক্রম। কারণ হিসেবে তিনি রাজ্য সরকারের অনুদান বন্ধের কথা বলেন। সুকান্তর অভিযোগ, “অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা সরকারের দেওয়ার কথা সেটা ব্রাত্য বসু দিচ্ছেন না।”

    তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই মুহূর্তে অপুষ্টিতে ভুগছে। সরকার প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করেছে। এই সংস্কৃতি রক্ষার দিনে এই অবস্থা অত্যন্ত লজ্জার।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুষ্কৃতীরাজ’, প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত
    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযোগ এনে সুকান্ত বলেন, “কে প্রোগ্রাম করবে, তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। এর নিট ফল – বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুষ্কৃতীরাজ মাথা চাড়া দিচ্ছে।”

    তিনি দাবি করেন, “সিকিউরিটিকে মারা হয়েছে, চশমা ভাঙা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই পরিস্থিতি হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় যাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পয়সা কামানোর জায়গা নাকি?”

    ‘আজকের দিনটি নয়, তবু বলা দরকার’
    রবীন্দ্র জয়ন্তীর মত একটি সাংস্কৃতিক দিনে এই কঠোর মন্তব্য করায় আত্মসচেতন ছিলেন সুকান্ত নিজেই। তিনি বলেন, “আজকে এই সব বলার সঠিক দিন নয়, তাও আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যা ঘটছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়।”

    ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি
    এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লেখার সময় পাওয়া যায়নি। তবে এর আগেও তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, রাজ্যপাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করছেন বলেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

     
  • Link to this news (আজ তক)