• 'ড্রোনে বেঁধে পাকিস্তানে ফেলে দিয়ে আসব' কাদের আবার টার্গেট করলেন শুভেন্দু!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ মে ২০২৫
  • ভারত-পাকিস্তানের মধ্য়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। এসবের মধ্য়েই রাজনৈতিক দলগুলি কে কোন অবস্থান নিচ্ছে তা নিয়ে নজর রয়েছে সকলেরই। সিপিএম আগে জানিয়ে দিয়েছিল তারা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ চান না তারা। অর্থাৎ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের পরবর্তী সময়ে যে ঘটনাগুলি হয়েছে তাকে একেবারেই মানতে পারছে না সিপিএম। ইতিমধ্য়েই সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন।

    এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে যাদবপুর থেকে ওদের চুলের মুঠি ধরে উৎখাত করব। সার্জিকাল স্ট্রাইক যেমন ওখানে চলছে ২০২৬ এ বাংলার ভেতরেও এই ভারত বিরোধী টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের উপর সার্জিকাল স্ট্রাইক করা উচিত। বিজেপিকে যদি বাংলার মানুষ আনে ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে যাদবপুর থেকে তাদের চুলের মুঠে ধরে পেটাতে পেটাতে সীমান্তের বাইরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানে ড্রোনে বেঁধে ফেলে দিয়ে আসব।

    ইতিমধ্যেই সিপিএমের একাধিক নেত্রীর নানা মন্তব্য নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে।

    মহম্মদ সেলিম ইতিমধ্যেই বলেছেন, 'আসলে আঘাত আর প্রত্যাঘাত একটা ধারাবাহিক ব্যাপার। এরকম যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। আজকের বিশ্বে কেউ কারোর দেশ দখল করতে পারে না। তাহলে ইউক্রেনের যুদ্ধ এত দীর্ঘস্থায়ী হত না। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্য়ে গোটা বিশ্ব বলছে শান্তির জন্য় আলোচনা করো তারপরেও যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ মানে ধ্বংসলীলা। যত বেশি যুদ্ধের দামামা বাজবে ততই বলতে হবে যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করতে হয় যেটা ভারত করেছে, সবাই সমর্থন করেছে, গোটা বিশ্ব সমর্থন করেছে, কিন্তু তারপরে এই যে রিটালিয়েশন, এসকালেসন সেটা ক্রমাগত চলতে থাকে। মিডিয়াতে দেখছি পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে তারা ভারত জয় করে নিয়েছে, ভারতের মিডিয়াতে বলছে পাকিস্তান জয় করে নিয়েছে। যুদ্ধ নিয়ে ভিডিয়ো গেম নয়। সীমান্তে যে মানুষ আছেন, জম্মুতে যে মানুষ আছেন তার আগে দিন দেখেছি ত্রাহি ত্রাহি রব হয়। যুদ্ধ তো সেনাদের মধ্য়ে হয়, কিন্তু আসলে নিরীহ গ্রামবাসী, সাধারণ মানুষ আছেন তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। দুই দেশের সরকারই তাদের দেশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ থেকে সহনীয় করে তোলার জন্য যে পদক্ষেপ সেটা নিচ্ছে না। কিন্তু একে অপরের জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এজন্য়ই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে হয়। ক্ষুদ্র প্রাচীরের উপরে তাকিয়ে যেমন ধর্মনিরপেক্ষ হতে হয়, তেমনি দেশ নিরপেক্ষ হয়ে দেখতে হয় মানবতার অপমান হচ্ছে নাকি মানবতার জয়গান হচ্ছে।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)