সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান, সোশালে সতর্ক থাকতে সর্বস্তরে বার্তা তৃণমূলের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ মে ২০২৫
গত বছর বাংলাদেশে পালাবদল ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি, অতি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মুর্শিদাবাদের হিংসা - দু'টি ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি হয়েছিল। যার সামাজিক তো বটেই, রাজনৈতিক প্রভাবও সুদূরপ্রসারী হতে পারে। সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদই নাকি এমনটা স্বীকার করেছেন!
এই প্রেক্ষাপটে পড়শি পাকিস্তানের সঙ্গে বাধ্য হয়েই সংঘাতে জড়াতে হয়েছে ভারতকে। এ নিয়ে যাতে কোনও ভুয়ো খবর সামাজিক মাধ্যমগুলিতে না ছড়ানো হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বে। সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে - এ নিয়ে ইতিমধ্যেই সংগঠনের সমস্তস্তরে বার্তা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সবরকম সমন্বয় সাধন করে চলার পাশাপাশি কালোবাজারি কড়া হাতে রোধ করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সরকারি নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সোশাল মিডিয়াতেও কড়া নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিযোগ হল, মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসায় সমাজমাধ্যমের 'ভুয়ো খবর' প্রবল নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। এদিকে, দেশের বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে, যেখানে ভারত সরকার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে পহেলগাঁও হামলার বিশেষ ধরন আদতে দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কূট অভিসন্ধি ছিল, তারপরও জাতীয়তাবাদের সঙ্গে মেরুকরণের রাজনীতি সূক্ষভাবে মিশিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে তৃণমূল শিবিরে অভিযোগ উঠছে। মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে সবথেকে ঘাতক ভূমিকা পালন করতে পারে ভুয়ো সোশাল পোস্টগুলি। তাই সেদিকে সর্বদা সচেতন দৃষ্টি থাকা আবশ্যিক মনে বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সব এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে, সেই ব্যাপারে দলের তরফে সংগঠনের সর্বস্তরে বার্তা দেওয়া হচ্ছে।'
দলের কোনও এক প্রবীণ নেতকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, 'ভারত-পাক সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে খুব সূক্ষভাবে জাতীয়তাবাদের সঙ্গে হিন্দুত্বকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলা বা মিশ্র বসতি রয়েছে, এমন এলাকার জন্য পরিস্থিতি স্পর্শকাতর। সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলের জেলা ও ব্লকস্তরের নেতাদের।'
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের হিংসা পরিস্থিতি কেন শাসকদলের স্থানীয় নেতারা আগে থেকে আঁচ করতে পারলেন না, সেই অস্বস্তিকর প্রশ্ন আগেই উঠেছে তৃণমূলের সামনে। এবার তাই একটু বেশিই সতর্ক থাকতে চাইছে শাসকদল।