• অফিস বেতন দিচ্ছে না, তাই গ্রাহককে প্রতারণা এজেন্টের!
    বর্তমান | ১০ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্রিমিয়াম জমা না পড়ায় পুরনো বিমা পলিসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তা পুনরায় চালু করতে এক এজেন্টকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সল্টলেকের এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই টাকা অফিসে জমাই পড়েনি! তাই ওই এজেন্টের নামে বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে অভিযুক্ত এজেন্টকে পুলিস গ্রেপ্তারও করে। ধরা পড়ার পর পুলিসের জেরায় ধৃতের দাবি, তিনি যে অফিসে কর্মরত, সেখান থেকে তাঁকে বেতন দিচ্ছে না। সংসার চালাতেই সমস্যায় পড়ছেন তিনি। তাই গ্রাহকের টাকাই জমা না দিয়ে নিজের হস্তগত করেছেন। ধৃতের এহেন দাবি শুনে হতবাক পুলিসও।

    পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম আসিফ ইকবাল। তিনি যে পরিকল্পনা করেই প্রতারণা করেছেন, তা পরিষ্কার। কারণ, আসিফ ওই ব্যক্তিকে নিজের নাম বলেছিলেন প্রসেনজিৎ ঘোষ! অর্থাৎ, নিজের আসল নাম আগে থেকেই গোপন করেছিলেন। অভিযোগকারী যখন জানতে পারেন যে তাঁর টাকা অফিসে জমাই পড়েনি, প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে তখনই টের পান। বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগে এফআইআরে অভিযুক্তের নাম প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পূর্ব থানার পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, প্রসেনজিৎ তাঁর ছদ্মনাম। তারপরই আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতীতে তিনি কারও সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করেছেন কি না, কত টাকার প্রতারণা করেছেন, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আদৌ কোনও বিমা কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো বিমা পলিসি পুনরায় চালু করার নামে প্রতারণা নতুন নয়। আগেও এই ধরনের প্রতারণা দেখা গিয়েছে। তাই বিমা সংক্রান্ত কোনও প্রয়োজন থাকলে সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে ভালো। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা এড়ানো সম্ভব।  ধৃত এজেন্ট আসিফ ইকবাল।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)