• দেশজুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি, কী অবস্থায় রয়েছে ব্রিটিশ আমলের পাঁচটি বিমানঘাঁটি
    এই সময় | ১০ মে ২০২৫
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে রাজ্যজুড়ে সাত জায়গায় অস্থায়ী বিমানঘাঁটি তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। এর মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি বিমানঘাঁটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে দু'টি বিমানঘাঁটি রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের তৈরি সেই দুই বিমানঘাঁটিগুলো কী অবস্থায় রয়েছে?

    ব্রিটিশ আমলে তৈরি পাঁচটি বিমানঘাঁটি

    ব্রিটিশ আমলে তৈরি পাঁচটি বিমানঘাঁটির মধ্যে রয়েছে খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা, হিজলি (সালুয়া), চন্দ্রকোনারোডের ডিগ্রি, শালবনির কমলা (ঝড়ভাঙা), ঝাড়গ্রামের দুধকুন্ডি, বাঁকুড়ার পিয়ারডোবা এবং ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া। এর মধ্যে কলাইকুন্ডার অস্থায়ী বিমানঘাঁটি পরিণত হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার স্থায়ী বিমানঘাঁটিতে। এ দিকে মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত হয় হিজলির বিমানঘাঁটিটি। তবে এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের দু'টি বিমানঘাঁটি শালবনির কমলা এবং চন্দ্রকোনা রোডের ডিগ্রি বিমানঘাঁটি এখনও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও সেগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    শালবনির বাসিন্দাদের কথায়, সেখানকার বিমানঘাঁটির একটা বড় অংশে তৈরি হয়েছে নোট মুদ্রণ কেন্দ্র। তাই সেখানে জরুরি পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে পারবে না বলে জানাচ্ছে এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, ওই বিমানঘাঁটির উপরে মাঝেমধ্যেই বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চক্কর কাটে। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস, অমল মণ্ডলরা বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ২টি যুদ্ধবিমান বিমানঘাঁটির অনেক নীচে চক্কর কাটছিল। হয়তো রানওয়ে কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেটা দেখাই উদ্দেশ্য ছিল।’

    এলাকাবাসীদের কথায়, ‘আমরা ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছি ১৯৪২ থেকে ১৯৪৬ সাল অবধি এই বিমানঘাঁটি চালু ছিল। আর সেই সময়ে ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের একটি যুদ্ধবিমান জরুরি অবতরণও করেছিল। তবে এই বিমানঘাঁটি ভারত সরকার সংরক্ষণ করলে সেগুলো আজ পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকত না।’ মেদিনীপুরের বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক অরিন্দম ভৌমিক বলেন, ‘অবিভক্ত মেদিনীপুরের এই বিমানঘাঁটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। অনেক তথ্যও আমি উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তা প্রকাশ না করাই ভালো।’

  • Link to this news (এই সময়)