• বিকল্প শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার ডাক, লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন...
    আজকাল | ১১ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫ সালের প্রথম সাংগঠনিক বার্তায় দলের কর্মীদের কাছে নতুন বার্তা পাঠাল পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম। ‘পার্টি চিঠি’ নামক ওই বার্তায় রাজ্যজুড়ে ‘মিশন ৩৬০’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলায় অন্তত দু’টি বিকল্প পাঠদান কেন্দ্র এবং প্রতিটি এরিয়া কমিটিতে একটি করে স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়েছে।

    সিপিএম-এর বক্তব্য, এই সামাজিক উদ্যোগগুলির মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে এবং একই সঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

    দলীয় বার্তায় বলা হয়েছে, “বর্তমানে বিকল্প গড়ে তোলার লড়াই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।” ছাত্র-যুব ফ্রন্ট, শিক্ষক, অধ্যাপক ও উচ্চশিক্ষায় পাঠরত ছাত্রদের এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়াও, প্রতিটি এরিয়া কমিটিতে স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে দল। কম খরচে চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। স্থানীয় চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ, রেড ভলান্টিয়ার, ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মী এবং অন্যান্য সংগঠনগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগস্টের মধ্যে এই কাজগুলির অগ্রগতি রিপোর্ট আকারে জেলা কমিটিগুলিকে জমা দিতে হবে।

    রাজনীতিকে গুরুত্ব দিতে ভুললে চলবে না, বলছে সিপিএম। চিঠিতে বলা হয়েছে, “২০২৬ সালের নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগ্রাম। তাই রাজ্যের প্রতিটি বুথে স্থায়ী সংগঠন ও সদস্য গঠনের কাজ জুন ৩০-এর মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।”

    সামাজিক মাধ্যম নিয়েও দল কঠোর বার্তা দিয়েছে। ব্যক্তিগত প্রচার এবং দলের সিদ্ধান্তবিরোধী মতামত প্রকাশ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়াকে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জায়গা বানানো চলবে না।”

    দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “আমরা ভোটের হার'ই হারাইনি, মানুষের আস্থাও হারিয়েছি। সেই আস্থা ফেরাতে পারলেই ভোট আপনা থেকেই ফিরবে।”

    তিনি আরও বলেন, “আরজিকর আন্দোলনের সময় অনেকেই আমাদের সঙ্গে এসেছিলেন। এবার সেই শক্তিকে ভবিষ্যতের আন্দোলনে কাজে লাগাতে হবে।”

    সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, “আমরা সরকারি স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা করছি না। কিন্তু এই ক্ষেত্রগুলির দুর্বলতা থেকেই সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ছেন। আমরা সেই ফাঁক পূরণ করে দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করতে চাই।”

    কিন্তু এরপরেও দলের অন্দরে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে এক সামাজিক সহায়তা কেন্দ্রগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কতোটা যোগ্য প্রার্থীদের কাজে লাগানো হবে, না কি স্থানীয় নেতৃত্বের 'পছন্দের' কিন্তু অকার্যকরীদের কাজে লাগানো হবে, বা 'অপছন্দের' কিন্তু কার্যকরী প্রার্থীকে 'সাইড' করা হবে- পরিকল্পনার রূপয়ানেই মিলবে তার উত্তর।
  • Link to this news (আজকাল)