শনিবার বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তে কোনও গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সিদ্ধান্ত শুনে কিছুটা আশার আলো দেখেছিল হুগলির বাসিন্দা ভারতীয় জওয়ান পূর্ণম সাউয়ের পরিবার। নতুন করে জম্মু-সহ একাধিক এলাকায় পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় চিন্তা বাড়ল সাউ পরিবারে।
এ দিন এই সময় অনলাইনকে পূর্ণমের স্ত্রী রজনী বলেন, ‘আমরা ঘরে বসে সবই দেখছি। ২০ দিন হয়ে গেল মানুষটার কোনও খোঁজ নেই। সরকার একটু বিষয়টি দেখুক। আমরা বুঝতে পারছি না, কী হবে?’
সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হওয়ার পরেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে, তাই প্রায় ২০ দিন ধরে পাকিস্তান সেনার হাতে বন্দি সেনাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কল্যাণ বলেন, ‘আমি কয়েক মিনিট আগে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে, আমি এই মুহূর্তে কোনও পরিকল্পনার বিষয়ে শুনতে আগ্রহী নয়। আমি অবিলম্বে পদক্ষেপ করার দাবি করছি। বিলম্ব না করেই ওঁকে (পূর্ণম সাউ) মুক্তি দিতে হবে। তাঁর পরিবার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি যে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে যথেষ্ট সক্ষম।’
বিষয়টি নিয়ে পূর্ণমের স্ত্রী বলেন, ‘আমি ওঁর লেখা দেখেছি। ভালো লাগল। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, বিষয়টি দেখুন। এতদিন ধরে উনি ফেঁসে আছেন। নিশ্চয়ই কিছু না কিছু কাজ হবে।’
উল্লেখ্য, পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরেই গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেন পূর্ণম সাউ। পাক রেঞ্জার্স পূর্ণমকে আটক করে। এর পরে একাধিকবার ভারতীয় সেনার তরফে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখনও পূর্ণমকে পাকিস্তান মুক্তি দেয়নি।