সংবাদদাতা, হবিবপুর: প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ কলাইবাড়ি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন। চিকিৎসা পরিষেবা চলছে দু’কিমি দূরের তালুকদার পাড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বাসিন্দারা জানান, একটি কেন্দ্রে দুটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। আবার কখনও কলাইবাড়ির কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিষেবা দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কলাইবাড়িতে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থায়ী বিল্ডিং থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কলাইবাড়ি এলাকায়।
হবিবপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বাবর আলী বলেন, বর্ষায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরে জল ঢুকে সমস্যা হতো। সেই কারণে কয়েক বছর আগে গর্ভবতীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সরকারিভাবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালুকদার পাড়ায় নিয়ে আসা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ হাজার বাসিন্দা না থাকলে সেখানে নতুন করে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা যাবে না।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, পুরনো সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ছিল কলাইবাড়ি বাজার এলাকায়। বাসিন্দারা সেখান থেকেই সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতেন। কেন্দ্রটির পাশে একটি পুকুর রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই পুকুরের জল সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরে ও সামনের রাস্তায় উপচে পড়ত। প্রচুর কাদা জমে যেত এলাকায়। একবার এক গর্ভবতী পড়ে যাওয়ার পর সরকারিভাবে সেই কেন্দ্রটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আশেপাশে কোথাও জায়গা খুঁজে না পাওয়ায় পার্শ্ববর্তী তালুকদার পাড়ায় পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়। তখন থেকে সেখানেই চলছে পরিষেবাো।
কলাইবাড়ীর সুদেব সরকার বলেন, দু’কিলোমিটার দূরে তালুকদার পাড়ায় যেতে সমস্যা হয় রোগীদের। বাজার এলাকাটি কলাইবাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় হওয়ায় সেখানে যাতায়াতে সুবিধা। এখন পাকা রাস্তা সহ এলাকার অনেক উন্নতি হয়েছে। কোনও সমস্যা নেই সেখানে। বিল্ডিংটি ভালই রয়েছে। পুনরায় এই বিল্ডিংয়ে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা চালু করা হোক।
কলাইবাড়ি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লতিকা সরকার বলেন, তালুকদার পাড়ায় কলাইবাড়ি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব নতুন বিল্ডিং ও পরিকাঠামো রয়েছে। সেখানেই কলাইবাড়ি ও তালুকদার পাড়ার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। জায়গা পরিবর্তনের বিষয়টি জানা নেই।