• সাঁতার শিখতে মাসে দেড় হাজার, ‘টক টু মেয়রে’ গৌতমকে নালিশ নাগরিকের
    বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শহরের সুইমিং পুল থাকলেও মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়েদের সাঁতার শেখা কার্যত স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পাশে বিকাশ ঘোষ মেমোরিয়াল সুইমিংপুলে সাঁতার শিখতে গেলে মাসে দেড় হাজার টাকা করে দিতে হয়। এনিয়ে  বিভিন্ন স্তরের ছেলেমেয়ে ও  অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ফলে সাধ থাকলেও সাধ্যের বাইরে হওয়ায় অনেকে সাঁতার শিখতে বিকাশ ঘোষ মেমোরিয়াল সুইমিং পুল মুখো হতে পারছে না। 

    পুরমন্ত্রী থাকাকালীন অশোক ভট্টাচার্য তাঁর বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় এই সুইমিংপুল তৈরি করেছিলেন এসজেডিএ-র মাধ্যমে। উদ্বোধন করেছিলেন প্রখ্যাত সাঁতারু বুলা চৌধুরী। প্রথম থেকে এই সুইমিংপুল পরিচালনার দায়িত্ব ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেভাবেই এই  সুইমিংপুল পরিচালনা করে আসছে একটি সংস্থা। সাঁতার শেখার ক্ষেত্রে তারা তাদের মতো করে ফি ধার্য করছে।

    করোনাকালে চার বছর এই সুইমিংপুল বন্ধ ছিল। এসজেডিএ-র মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে পুরসভা সুইমিংপুল সংস্কার করে আবার চালু করে। তারপর থেকেই এই ফি বৃদ্ধির একটি নিয়ে চর্চা শুরু হয় সব মহলে। 

    এই নিয়েই শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ১৪নম্বর ওযার্ডের  আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা শুভজিত্ দাস এই সুইমিংপুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফি নিয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ করেন। মেয়রকে তিনি বলেন, আমার ছেলে বিকাশ ঘোষ সুইমিংপুলে সাঁতার শিখত। এক বছর পড়াশুনার জন্য যায়নি। আবার সাঁতার শিখতে গেলে এখন তাকে টাকা দিয়ে নতুন করে ভর্তি করতে বলছে। মাসে মাসে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়। কেন এত বেশি টাকা নেবে। কলকাতা পুরসভার সুইমিংপুলগুলিতে মাসে মাত্র ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। 

    শিলিগুড়ি পুরসভা এই সুইমিংপুল পরিচালনায় যুক্ত রয়েছে। মেয়র এই অভিযোগ শুনে শুভজিত্ বাবুকে আশ্বস্ত করে বলেন, কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কথা বলে আমাদের সুইমিংপুলের ফি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি রিভিউ করে দেখা হবে।

    এদিকে এদিন টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানে ২৪ জন ফোন করেন। তার মধ্যে বেশি অভিযোগ ছিল অবৈধ নির্মাণ নিয়ে। কেউ বলেন, পুরসভায় অভিযোগ জানানোর পরও অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়নি। কারও অভিযোগ ছিল, পুরসভা সার্ভে করে যাওয়ার পরও বেপরোয়াভাবে অবৈধ নির্মাণ করছেন অনেকে। মেয়র বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। বামেরা যখন শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল তখন তারা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। সে কারণেই মানুষের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বেপরোয়া মনোভাব রয়ে গিয়েছে। আমরা তিন বছর হল বোর্ডে রয়েছি। সাধ্যমত চেষ্টা করছি শহরকে অবৈধ নির্মাণ মুক্ত করার।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)