নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: শনিবার কোচবিহার জেলাজুড়ে সমস্ত সেতু, কালভার্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে পুলিস। কোনওভাবেই যাতে ওই সব জায়গায় কোনও নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে সেদিকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ভারতের যে কোনও এলাকা দিয়ে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে যেতে হলে কোচবিহারের উপর দিয়ে যেতে হয়। রয়েছে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক। আবার কোচবিহার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। তার অনেক অংশে আবার কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে কোনওরকম নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে সেদিকেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিস ও বিএসএফ যৌথ মিটিং চালিয়ে যাচ্ছে।
এসবের মধ্যেই শনিবার জেলাজুড়ে ‘ক্যামোফ্লেজ’ পোশাক, বিক্রি রুখে দিতে নজরদারি চালাল জেলা পুলিস। কোচবিহার, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা সহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী, রেডিমেট পোশাক বিক্রেতাদের এবিষয়ে সচেতন করা হয়। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে নজরদারি চালান কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল। সঙ্গে ছিলেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ। ব্যবসায়ীদের জানানো হয় যে, সাধারণ মানুষকে এই ধরনের পোশাক একেবারেই বিক্রি করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গায় আর্মির পোশাক, সামগ্রী বিক্রি না করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ ধরনের পোশাক পড়ে কেউ যাতে নাশকতামূলক কাজ করতে না পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, জেলাজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ সেতু, কালভার্ট, রাস্তা প্রভৃতি জায়গায় এন্টি সাভোটেজ চেকিং চলছে। ক্যামোফ্লাজ পোশাক বিক্রি না করার কথা ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গেও কো-অর্ডিনেশন মিটিং চলছে। নিজস্ব চিত্র।