• রান্না ও বাড়ির কাজ সেরে উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল আদিবাসী কন্যা অঞ্জলির
    বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইটাহার: বাবা-মা দুজনই অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। সকাল হলেই তাঁরা চলে যান কাজে। পরিবারের রান্না ও বাড়ির কাজকর্ম সেরে উচ্চমাধ্যমিকে প্রায় ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে চমক দিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়ে অঞ্জলি মুর্মু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৪৭।

    দিনমজুর বাবা মায়ের মেয়ে অঞ্জলি নার্স বা পুলিস হতে চায়। অঞ্জলির বাড়ি ইটাহারের উজালপুর গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রামে টিনের চাল দেওয়া ঘরে বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে থাকে অঞ্জলি। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একটা চাকরি জুটিয়ে পরিবারের হাল ধরতে চায় বড় মেয়ে অঞ্জলি। কারণ, তার ভাই নেই। অঞ্জলি জানায়, নার্স বা পুলিসের চাকরি করে বাবা মায়ের পাশে দাঁড়া঩তে চাই।

    বাবা রবিন মুর্মু ও মা অনিতা সোরেন অন্যের জমিতে কাজ করে দুই মেয়েকে কষ্ট করে পড়াচ্ছেন। আর্থিক অনটনের ফলে অঞ্জলিকে ছোট থেকে রায়গঞ্জের একটি আদিবাসী আবাসিক মিশন স্কুলে রেখেছিলেন রবিন। তবে একাদশে এসে অঞ্জলি ভর্তি হয় ইটাহারের শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। বাড়ির রান্না ও সংসারের কাজ সামলে পড়াশোনা করত অঞ্জলি। তারপর প্রায় ৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে স্কুল। 

    অঞ্জলির মা অনিতা জানান, আমরা তো নিরক্ষর। তাই কষ্ট করে হলেও মেয়েদের লেখাপড়া শেখাচ্ছি। যাতে তারা শিক্ষিত হয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। অঞ্জলির সাফল্যে খুশি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হুসেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই অঞ্জলির পাশে আছি।
  • Link to this news (বর্তমান)