সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: আবাসনের নীচে চলছে রেস্তরাঁ। সেখানে বিপজ্জনকভাবে চলছে রান্না। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বিক্ষোভে নামলেন আবাসনের বাসিন্দারা। রায়গঞ্জের তুলসিপাড়ায় ওই আবাসনে মাস ছয়েক আগে রেস্তরাঁতে রান্নার কাজ শুরু হয়। আবাসনের বাসিন্দারা রান্না বন্ধ করার কথা বললেও রেস্তরাঁর মালিক তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। বরং রেস্তরাঁয় সিলিন্ডার লাগিয়ে রান্না চালিয়ে যান। আবাসনের নীচে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্নার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। রায়গঞ্জ ডিভিশনের দমকলের আধিকারিক শিবানন্দ বর্মন বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কাগজপত্র ঠিক না থাকলে রেস্তরাঁটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
আবাসনের বাসিন্দা সোমা বাগচী বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে এই ফ্ল্যাটে থাকি। আমার মতো আরও ৪৩ টি পরিবার থাকে এই ফ্ল্যাটে। জনবহুল ফ্ল্যাটের নীচের ফ্লোরে ৯ টি কমার্শিয়াল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে। যা থেকে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকী রেস্তরাঁতে রান্নাঘরের ধোঁয়া উপরে চলে আসে। এর জেরে বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের সমস্যা হচ্ছে। এবিষয়ে প্রশাসনের সব স্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হচ্ছে না।
রেস্তরাঁর মালিক প্রবেশ কারডা বলেন, আবাসনের লোকেরা রান্না সংক্রান্ত সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। কিচেনের ধোঁয়া যাতে সুনির্দিষ্ট পথ দিয়ে বেরতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছি। তাছাড়াও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। আমি বিষয়টি প্রশাসনকেও জানিয়েছি।
ফ্ল্যাটের নীচে রেস্তরাঁটি অবৈধভাবে চলছে বলে অভিযোগ অনেকের। এপ্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, রেস্তরাঁটি বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। বন্ধ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।