• ডিরেক্টর নির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, কন্টাই কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ব্যাঙ্ক
    বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: কন্টাই কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নির্বাচনে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে পরাস্ত করলেন দলেরই ব্লক সভাপতি। শনিবার কাঁথিতে ব্যাঙ্কের মূল কার্যালয়ে টান টান উত্তেজনায় ঘরোয়া লড়াই হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রচুর পুলিস মোতায়েনের পাশাপাশি নামানো হয়েছিল র‌্যাফও। কোনও ঝামেলা ছাড়াই নির্বিঘ্নে ভোট হয়। মোট ৭৮ জন ডেলিগেটের মধ্যে ৭৭ জন ভোট দেন। তাতে কাঁথি-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নন্দদুলাল মাইতি ৫৭টি এবং অঞ্চল সভাপতি শ্যামল দাস ২০টি ভোট পান। বেলা আড়াইটা নাগাদ গণনার পর ফল প্রকাশ হতেই ব্লক সভাপতি অনুগামীরা বিজয় মিছিল বের করেন। ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসার অমিয় হোতা বলেন, ৭৮ জন ডেলিগেটের মধ্যে ৭৭ জন ভোট দিয়েছেন। 

    গত কয়েকদিন ধরে কন্টাই কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার ব্যাঙ্কে ডিরেক্টর নির্বাচন নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ব্যাঙ্কের ডেলিগেট নির্বাচনে ৭৮টি আসনের মধ্যে সবকটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। তারপর ডিরেক্টর নির্বাচন হওয়ার কথা। মোট ১৩ জন ডিরেক্টর পদে প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে একটি আসন নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। কাঁথি-৩ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব দলেরই ব্লক সভাপতি নন্দদুলাল মাইতিকে ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু, দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠী ওই আসনে তৃণমূলের দুরমুঠ অঞ্চল সভাপতি শ্যামল দাসকে প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করে। দলের সমবায় সেলের রাজ্য নেতা আশিস চক্রবর্তী শ্যামলবাবুকেই দলের প্রার্থী বলে জানিয়ে দেন। এভাবেই একটা সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়। ওই একটি আসন থেকে দু’জন মনোনয়ন জমা করেন। জল ঘোলা করার জন্য বিজেপির কাঁথির এক প্রভাবশালী নেতা অঞ্চল সভাপতিকে জেতানোর জন্য ডেলিগেটদের ফোন করেন। কিন্তু বিজেপির সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। 

    শনিবার সকাল ১১টা থেকে ভোট শুরু হয়। শাসক দলের এই ঘরোয়া নির্বাচন ঘিরে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন ছিল। জারি ছিল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ধারা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডার প্যানেলের প্রার্থী নন্দদুলালবাবু জয়ী হন। এদিন ভোট উপলক্ষ্যে কাঁথি-৩ ব্লক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বেজ, শিক্ষক সংগঠনের নেতা সহ অন্যান্যরা ব্যাঙ্কের সামনে হাজির ছিলেন। ফল ঘোষণার পরই তাঁদের উদ্যোগে বিজয় মিছিল বের হয়।

    বিকাশবাবু বলেন, ব্লক এবং জেলা নেতৃত্ব নন্দদুলালবাবুকে ডিরেক্টর চেয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে সেই নন্দদুলালবাবুই বড় মার্জিনে জয়ী হলেন। এতে প্রমাণিত, জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব যোগ্য ব্যক্তিকেই প্রার্থী করেছিল।

    তৃণমূলের সমবায় সেলের রাজ্য নেতা আশিস চক্রবর্তী বলেন, ডিরেক্টর নির্বাচনে ১২টি আসনের মতো কাঁথি-৩ নম্বর আসনেও ভোটাভুটি এড়াতে পারলে ভালো হতো। কখনও কখনও ইগো একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। যাইহোক, আমাদের দলের প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর নতুন বোর্ড স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)