• এখনও যুদ্ধে যেতে রাজি কাটোয়ার কার্গিল যোদ্ধা
    বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কার্গিল যুদ্ধ। ভারতীয় সেনা যার পোশাকি নাম দেয় ‘অপারেশন বিজয়’। আর এবার শুরু হয়েছে অপারেশন ‘সিন্দুর’। সন্ত্রাসবাদ ও পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে ফের একবার ময়দানে নেমেছে ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলি। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পুরনো সেইসব স্মৃতি রোমস্থন করছেন কাটোয়ার শহরের বাসিন্দা তথা কার্গিল যোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সিআরপিএফ জওয়ান পল্লবকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, একসময় জম্মুর আরএসপুরা সেক্টরে তিনি পোস্টিং ছিলেন। এখন যুদ্ধ আবহে সেখানে সাইরেন বাজচ্ছে। জম্মুতে বারবার ড্রোন হামলার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তা বিফল করেছে ভারত। যা দেখে তাঁর মন করছে ভারতীয় সেনার পাশে দাঁড়াতে। 

    বয়স বাড়লেও মানসিকভাবে যেন এখনও নবীনই আছেন পল্লববাবু। তাঁর কথায়, এখন আমাদের মতো অবসর কর্মীদের ডাকলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে যেতে রাজি আছি। প্রাক্তন এই যোদ্ধা বলেন, সরকার আমাদের যদি যুদ্ধে ব্যবহার করে, আমরা যেতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা মর্টার ছুড়তে পারি। 

    ১৯৮৮ সালে মধ্যপ্রদেশে সিআরপিএফ জওয়ান পদে যোগদান করেন কাটোয়ার মোস্তফাপুরের বাসিন্দা পল্লববাবু। যদিও তিনি স্ত্রী রমা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে পরবর্তীকালে কাটোয়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়ামপাড়ায় চলে আসেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টিং ছিলেন তিনি। কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন পল্লববাবুদের টিমকে দ্রাসা এলাকায় পোস্টিং করা হয়। তাঁর কাজ ছিল যুদ্ধে জখমদের সেবা শ্রুশুষা করা। জখমদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা। শহিদ জওয়ানদের কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে ফেরত পাঠানো। যুদ্ধের প্রতিটা দৃশ্য যেন এখনও তাঁর চোখের সামনে ভাসছে। তিনি এখনও সবকিছু অনুভব করেছেন। ২০০৯ সালে সিআরপিএফ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন পল্লববাবু। এখন নতুন করে এসব টিভির পর্দায় দেখে তাঁর মন ব্যাকুল হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, পিওকে আমাদের চাই। সেটা যে করেই হোক ফিরিয়ে আনতে হবে। পাকিস্তান বারবার ভারতকে নানাভাবে উস্কানি দেওয়ার কাজ করে এসেছে। এখন ভারতের হাতে নানা নতুন অস্ত্র এসেছে। পাকিস্তানকে এবার উচিত শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। তবে পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে গেলে এমন মরশুমেই দিতে হবে। কারণ শীত পড়লে কাশ্মীর, লাদাখে যা বরফ পড়ে। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই পাকিস্তানকে টুকরো করে দিতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)