দীঘায় নজরদারি ও নিরাপত্তা আরও বাড়ল, জোর নাকা চেকিংয়ের উপর
বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, কাঁথি: পর্যটন শহর দীঘায় নজরদারি ও নিরাপত্তা আরও বাড়াল পুলিস। সম্প্রতি দীঘায় উদ্বোধন হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। উদ্বোধন হওয়ার পর ওই মন্দিরে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মন্দিরের নজরদারি ও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। দীঘা লাগোয়া ওড়িশা সীমান্তেও শুরু হয়েছে নজরদারি। ওড়িশা সীমান্তে নিয়মিত নাকা চেকিং চলে। সেখানে নাকা চেকিংয়ের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দীঘায় প্রবেশপথে বাইপাসেও চলছে নাকা চেকিং। দু’টি জায়গায় সর্বক্ষণ পুলিসকর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। কোনও সন্দেহজনক গাড়ি বা বাইক দেখলেই থামানো হচ্ছে। চলছে তল্লাশি। জলপথেও নজরদারি চলছে। সমুদ্রে স্পিডবোট নিয়ে টহল দিচ্ছে দীঘা ও কোস্টাল থানার পুলিস। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে মন্দির সহ আশপাশের এলাকারও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে প্রচুর পুলিস মোতায়েন রয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগেই দীঘাজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি চলছে। মন্দিরের চারদিকে ওয়াচ টাওয়ারগুলি থেকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওল্ড ও নিউ দীঘায় বহু হোটেল-লজ রয়েছে। হোটেল-লজে কারা থাকছেন, সেব্যাপারে নিয়মিত তথ্য হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিসের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে। পুলিসের ‘স্বাগত’ পোর্টালে আগত পর্যটকদের যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের খাতার সঙ্গে আধার কার্ড মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। বছরখানেক আগে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই দুষ্কৃতীকে দীঘার হোটেল থেকেই ধরেছিল এনআইএ। তারা এখানে আত্মগোপন করেছিল। সবদিক মাথায় রেখে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকূল এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি(ডিঅ্যান্ডটি) আবু নুর হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জগন্নাথ মন্দির সহ গোটা দীঘার নিরাপত্তার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।