খাদ্যশস্য প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশে জুট শিল্পে স্বস্তি
বর্তমান | ১১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খাদ্যশস্য প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। সম্প্রতি একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিযোগ ছিল, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও জুট কমিশনার সময়মতো পাটের ব্যাগের বরাত দিচ্ছে না। ১৯৮৭ সালের আইন না মেনে খাদ্যশস্য এবং চিনি প্যাকেজিংয়ের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য পাটের তৈরি ব্যাগকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা।
এমনই অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতীয় জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের তরফে মামলাটি দায়ের করেছিলেন আবু রিয়াজ জাফর। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো রাজ্যে প্রচুর সংখ্যক জুট ব্যাগের চাহিদা থাকলেও সময়মতো জুট ব্যাগের বরাত দেওয়া হচ্ছে না। এখন রবিশস্য পাকেটজাত করার সময়। বর্তমানে পর্যাপ্ত সংখ্যক জুট ব্যাগ তৈরি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বরাত পেলে ১৫ দিনের মধ্যে তা সরবরাহ করা যেতে পারে। কিন্তু মন্ত্রকের তরফে শিথিলতা দেখানো হচ্ছে। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী অভ্রজিৎ মিত্র দাবি করেন, মন্ত্রকের ২০২৩ সালের নির্দেশ অনুযায়ী উৎপাদিত ফসলের ১০০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত পাটের ব্যাগ দিয়ে প্যাকেটজাত করার কথা। সেইমতো প্রতিমাসে সময়মতো জুট মিলগুলিকে বরাত দেওয়ার কথা। কিন্তু জুট কমিশনার তা করছেন না। যদিও জুট কমিশনাররের আইনজীবীর তরফে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। তাদের তরফে দাবি করা হয়, ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তরফে বরাত না আসায় জুট মিলগুলিকে সময়মতো বরাত দেওয়া হয়নি। সেই সংক্রান্ত রাজ্যভিত্তিক তথ্যও তারা আদালতে পেশ করে।
সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, পাটের ব্যগকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। জুট কমিশনারকে ইতিমধ্যেই উৎপাদিত জুট ব্যাগগুলি ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জুট ব্যাগ ব্যবহার নিয়ে তাদের অবস্থান জানিয়ে ১২ জুনের মধ্যে কমিশনারকে হলফনামা আকারে একটি রিপোর্টও জমা দিতে হবে। ১৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।