• হাইকোর্টে মামলার মধ্যেই ট্রাম লাইন পিচ দিয়ে ঢাকার অভিযোগ
    এই সময় | ১১ মে ২০২৫
  • এই সময়: কলকাতা হাইকোর্ট ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে বিটুমিনাইজেশন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। যে সব জায়গায় ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে বিটুমিনাইজেশন হয়েছে সেখানে পিচ তুলে দিয়ে আগের অবস্থায় ট্র্যাক ফিরিয়ে আনতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলা চলার সময়েই আলিপুর এলাকায় ট্রাম ট্র্যাকে পিচ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    এ বার মানিকতলা আন্ডারপাস, বাগমারি এলাকায় ট্রাম লাইনে পিচ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল ট্রামপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। অন্যতম সংগঠক সাগ্নিক গুপ্তর বক্তব্য, ‘বাগমারি সেতুর উপরে কয়েক বছর আগে বিটুমিনাইজেশন হয়েছি‍ল। সেখানে পিচ তুলে ট্রাম লাইন পুনরুদ্ধার হয়নি বরং যখন রাস্তা মেরামত হয় তখন আবার পিচ দেওয়া হয়। মানিকতলা আন্ডারপাস এলাকায় মাঝে মাঝে ট্রাম লাইনে পিচ দেওয়া হচ্ছে, এটাও আমাদের নজরে এসেছে।’

    যদিও রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের বক্তব্য, ‘কলকাতার রাস্তায় কোথায় পিচ দেওয়া হচ্ছে অথবা সংস্কার হচ্ছে তা কলকাতা পুরসভার তত্ত্বাবধানে হয়। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের কোনও ভূমিকা থাকে না।’ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কথায়, ‘রাজ্য সরকারের অবস্থান হলো কলকাতায় ট্রাম চালানো হবে না। রাস্তা সংস্কারের সময়ে অনেক ক্ষেত্রে ট্রাম লাইনে প্রথমে পিচ দেওয়া হলেও পরে সেই লাইন থেকে পিচ সরিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।’

    ট্রাম প্রেমীদের তরফে হাইকোর্টে মামলা লড়ছেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি। তাঁর বক্তব্য, ‘কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শহরে ট্রাম রাখার বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আগ্রহী হয়ে মামলা শুনছিলেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি সমস্ত জনস্বার্থ মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় গত সপ্তাহে এই মামলা শুনানির তালিকায় থাকলেও তার শুনানি হয়নি। নতুন ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য আমরা আবেদন করব।’

    কলকাতা শহরকে যানজট মুক্ত করে দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাম তুলে দেওয়া জরুরি বলে রাজ্য সরকারের যুক্তি। যদিও ট্রামপ্রেমীরা পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন, যে রাস্তাগুলিতে এখন ট্রাম চলে না সেখানে যানজট মোটেই কমেনি। মধ্য কলকাতায় রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের মতো একাধিক রাস্তায় বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে যানজট হয় বলে ট্রাম প্রেমীদের বক্তব্য।

  • Link to this news (এই সময়)