• সাঁতার শিখতে মাসে দেড় হাজার! ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অভিযোগ
    এই সময় | ১১ মে ২০২৫
  • এই সময়, শিলিগুড়ি: সাঁতার শিখতে মাসে দেড় হাজার! অবিশ্বাস্য মনে হলেও শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম লাগোয়া সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে গেলে এমনই নাজেহাল হতে হয় মধ্যবিত্তদের। প্রথমে ভর্তির ফি একগাদা টাকা। তার পরে মাসিক ফি, সাঁতারের পোশাক–সহ নানা রকম খরচ। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমনই অভিযোগ জানালেন শহরের আশ্রমপাড়া এলাকার এক নাগরিক। তাঁর ছেলে এ বার দ্বাদশের পরীক্ষা দিয়েছে।

    পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রয়োজনে গত কয়েক মাস সাঁতার শিখতে যেতে পারেনি। ফলে শিক্ষার্থীদের তালিকা থেকে তাঁর নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পরে এখন ফের সাঁতার শিখতে গেলে কর্তৃপক্ষ নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করানোর নির্দেশ দেন। বিব্রত মেয়র বলেন, ‘ফের যাতে রেজিস্ট্রেশন করাতে না-হয় সেটা আমি কর্তৃপক্ষকে বলে দেখতে পারি। মাসিক ফি কেন দেড় হাজার টাকা, সেটা বলতে পারব না। খোঁজ নিতে হবে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির খোঁজ নেব।’=

    ২০০৯ সাল নাগাদ বাম জমানায় রাজ্যের তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচাযের্র বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পাশে এই সুইমিং পুলটি তৈরি করা হয়। এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় এসজেডিএকে। এসজেডিএ পিপিপি মডেলে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এটি পরিচালনা করত। মূলত শহরের ছেলেমেয়েদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়। ফি খুব বেশি ছিল না। ফলে সারা বছর ভিড় লেগে থাকত। করোনার সময়ে সুইমিং পুলটি বন্ধ রাখতে হয়। করোনা পর্ব মিটলে গৌতম দেব সুইমিং পুলটি চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। সম্প্রতি মেয়রের উদ্যোগে ওই সুইমিং পুলে সাঁতার প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।

    আশ্রমপাড়ার ওই বাসিন্দা মেয়রকে বলেন, ‘কলকাতাতেও পুরসভা পরিচালিত বেশ কয়েকটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেখানে এত ফি নেওয়া হয় না। শিলিগুড়িতে কেন এত টাকা ফি নেওয়া হয়?’ মেয়র অবশ্য জানান, কলকাতা পুরসভার সুইমিং পুলের ফি কত সেটাও খোঁজ নেবেন তিনি। মেয়র বলেন, ‘সুইমিং পুলটা এখনও আমরা চালাই না। এসজেডিএ একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে পরিচালনা করে। ওই সংস্থা কী ভাবে ফি–স্ট্রাকচার তৈরি করেছে সেটা জানা নেই। আমি খোঁজ নেব।’

  • Link to this news (এই সময়)