• ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার ড্রোন, মুর্শিদাবাদে প্রবল আতঙ্ক...
    আজকাল | ১১ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে মুর্শিদাবাদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে শনিবার  রাতে একটি ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার  সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, 'উদ্ধার হওয়া ড্রোনটি কোথা থেকে এসেছে পুলিশ তা  খতিয়ে দেখছে। ড্রোনটি পরীক্ষা করার জন্য বিএসএফ নিয়ে গিয়েছে।'

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জ  থানার অন্তর্গত নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে কিছু যুবক মাঠের পাশে বসে গল্প করছিল। সেই সময়ে ওই গ্রামের বাসিন্দা জনৈক পলাশ নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তি ভুট্টার জমির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ড্রোন পড়ে থাকতে দেখেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর গ্রামের বেশ কিছু যুবক আশেপাশের এলাকায় কথাবার্তা বলে ড্রোনটি কেউ শুটিং করানোর জন্য উড়িয়েছিল কিনা তার খোঁজখবর করেন। যদিও সেই সময়ে ড্রোনটির কোনও মালিককে  খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর পলাশ নামে ওই ব্যক্তি ড্রোনটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।

    নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থানীয়   সদস্য আনসারুল হোসেন বলেন,' পলাশ নামের ওই ব্যক্তি ড্রোনটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় ড্রোন উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে উপ প্রধান অলক দাস এবং আমি ওই যুবকের বাড়িতে যাই ড্রোনটিকে দেখার জন্য।'

    তিনি জানান, 'এলাকায় ড্রোন উদ্ধার হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। প্রচুর মানুষ কিছুক্ষণের মধ্যেই পলাশবাবুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান। ঘটনার খবর দেওয়া হয় সামশেরগঞ্জ থানা এবং বিএসএফ  আধিকারিকদের। এরপর নিমতিতা ক্যাম্প থেকে বিএসএফ আধিকারিকেরা এসে ড্রোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নিজেদের হেফাজতে নেন।'

     নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা বলেন, সম্প্রতিক অশান্তির কারণে সামশেরগঞ্জে এমনিতেই কিছুটা  উত্তেজনা এখনও রয়েছে। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর-বরোজডিহি এই রাজ্যের শেষ গ্রাম। এর পরই গঙ্গা নদী এবং তারপর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা। যে এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ড্রোনটি উদ্ধার হয়েছে তার খুব কাছেই রয়েছে নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প। ড্রোনটিকে হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে একাধিক গ্রামবাসী দাবি করেছেন ওই ড্রোনের মধ্যে কমপক্ষে ৫-৬ টি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু কীভাবে ড্রোনটি বরোজডিহি গ্রামে এসে পৌঁছলো তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

    যদিও সামশেরগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার এক যুবক ড্রোনটি নিজের বলে দাবি করেছেন। ড্রোনটি কী কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় ওড়ানো হচ্ছিলো এবং ওই যুবকের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের যাবতীয় রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    যদিও, ড্রোনটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা ধারণা তৈরি হচ্ছে। ড্রোনটির মডেল ,তার কার্যক্ষমতা এবং অন্যান্য বিস্তারিত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিএসএফের তরফ থেকে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)