আজকাল ওয়েবডেস্ক: জমি থেকে ছাগলের পাট গাছের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু'জন।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত ধরমপুর খাঁপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম পিয়ারুল খান (২২)। কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, খাঁপাড়ার বাসিন্দা সানোয়ার খানের পাটের জমিতে তার দাদা মনিরুদ্দিন খানের পোষা কয়েকটি ছাগল প্রায়শই ঢুকে গিয়ে জমিতে লাগানো পাট গাছের পাতা খেয়ে নিত বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই অশান্তি চলত দুই পরিবারের মধ্যে।
শনিবার বিকেলে সানোয়ার দেখেন ফের তাঁর জমিতে ছাগল ঢুকে পাটের পাতা খেয়ে নিচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সানোয়ার তাঁর দাদার বাড়িতে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ছাগলের পাতা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী চেহারা নেয়।
অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই মনিরুদ্দিন তার ছেলে টিটু, বাবু এবং খোকনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ভাই সানোয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন।খবর পেয়ে সানোয়ারের দুই ছেলে পিয়ারুল এবং রাহুল দ্রুত গ্রামে ছুটে আসেন।
অভিযোগ, বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গ্রামবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় সানোয়ার, পিয়ারুল এবং রাহুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।
অবস্থার অবনতি হলে পিয়ারুল সহ আরও একজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পিয়ারুলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।