ভারত-পাক অশান্তির আবহে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রবিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে গোয়েন্দাদের। কোনওরকম সন্দেহজনক তথ্য এলে তা সঙ্গে সঙ্গে ডিজি কন্ট্রোল রুমে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে খাদ্যসচিব জেলাশাসকদের জানান, তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী যাতে মজুত থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাইরেন নিয়েও বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয় এ দিনের বৈঠকে। জেলায় থাকা লং রেঞ্জ সাইরেন ও শর্ট রেঞ্জ সাইরেন দ্রুত মেরামতি বা নতুন করে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আপাতত কোথায় কোথায় সাইরেন বসানো হবে তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আশ্রয় শিবির বা ফ্লাড সেন্টার থাকলে সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা দেখতে হবে। যেখানে নেই, সেখানে আশ্রয় শিবির কোথায় হবে, তাও চিহ্নিত করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ উত্তর-পূর্ব ভারতের গেটওয়ে। উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে চিন ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ বিরতির মধ্যেই জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলি যাতে সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে, সে দিকে বিশেষ নজর রাখার কথাও বলা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাজস্থান, পাঞ্জাবে লাগাতার আক্রমণ চালিয়েছে পাক সেনা। একাধিক জায়গায় শনিবার পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষবিরতির পরেও পাক সেনার আক্রমণ থামেনি। সোমবার দুই দেশের DGMO-র মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।
রবিবারের বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার জেলা পুলিশকে সীমান্ত এলাকার ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথাও বলেন। পাশাপাশি ভুয়ো খবর বা গুজব যাতে না ছড়ায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
তথ্য সহায়তা: সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়