সংবাদদাতা মালদহ: প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক বাজেয়াপ্ত করল রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ঘটনাস্থল সেই বৈষ্ণবনগর। মাত্র দিনতিনেক আগেই এই বৈষ্ণবনগর থানা এলাকা থেকেই এসটিএফ বাজেয়াপ্ত করেছিল আটটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেপ্তার হয়েছিল বিহারের এক অস্ত্র কারবারি। একই সঙ্গে প্রায় ৩ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার জালনোট সহ পুলিস বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল এক যুবককে। এসটিএফ ও পুলিসের পরপর সফল অভিযানে সাধারণ মানুষ অনেকটাই নিশ্চিন্ত। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, কেন মালদহকেই অস্ত্র, জালনোট ও মাদক পাচারের করিডর হিসাবে বেছে নিচ্ছে অপরাধীরা।
পুলিস ও এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকার পার্কিং জোন সংলগ্ন একটি জায়গায় অভিযান চালায় এসটিএফ। দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ১ কেজি ৩৯০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই ব্রাউন সুগারের মূল্য নিষিদ্ধ বাজারে এক কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।
যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম হাদিকুল শেখ ও এসাফাক শেখ। দু’জনই কালিয়াচক থানার মোজামপুর এলাকার বাসিন্দা। ওই বিপুল পরিমাণ মাদক মুর্শিদাবাদে পাচার করা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে এসটিএফ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ওই মাদকের উৎস এবং গন্তব্য জানার চেষ্টা করছে পুলিস। একই সঙ্গে ওই পাচার চক্রের সঙ্গে কারা যুক্ত রয়েছে, তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক।
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে দুটি আন্তঃরাজ্য সীমানাও রয়েছে মালদহে। এছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের সঙ্গে তিনটি আন্তঃজেলা সীমান্ত রয়েছে।
জেলা পুলিসের ওই কর্তা বলেন, স্থলপথ, রেলপথ ও জলপথে মালদহ থেকে ভিন জেলা ও অন্য রাজ্যে দ্রুত গা ঢাকা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এই অবস্থানগত সুবিধার কারণেই মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারীরা করিডর হিসেবে মালদহকে বেছে নেয়। ধৃত দুই। - নিজস্ব চিত্র।