• দক্ষিণ দিনাজপুরে সেচে জলের তীব্র সঙ্কট, ক্ষতির মুখে কৃষকরা
    বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বৃষ্টির দেখা নেই। গত এপ্রিলে ঘাটতি ছিল ৬৫ শতাংশ। চলতি মে মাসে সেটা বেড়ে ১০০। ফলে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠের পাট ও সব্জি। বৃষ্টি না থাকায় কৃষিকাজে সেচের ব্যাপক সমস্যা। ভরসা বলতে সাবমার্সিবল বা ডিজেল চালিত পাম্প। এতে চাষের খরচ বাড়ছে হুহু করে।  কয়েকদিন বৃষ্টি না হলে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়বেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষকরা। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বিজ্ঞানী জ্যোতির্ময় কারফরমা বলেন, জেলায়  পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত নেই বলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে পাট এবং সব্জির জন্য বেশি জল প্রয়োজন। বালুরঘাট ব্লক কৃষি অধিকর্তা তনয় সাহার কথায়, বৃষ্টি না থাকায় সেচের উপরেই নির্ভর করতে হবে চাষিদের। এই সময় ২ শতাংশ ইউরিয়া সলিউশন স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ফোয়ারা জলসেচ যন্ত্র ব্যবহার করলে জল কম লাগবে। যাঁদের এই যন্ত্র নেই, সাবসিডির মাধ্যমে কিনতে কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র গরম। গত কয়েকদিন তাপে পুড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। এখন ধানের ক্ষেত্রে তেমন জল না লাগলেও পাটের প্রয়োজন। সেই জলটুকুও পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি পটল, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, টম্যাটো, মুলো, শসা সহ অন্য সব্জি জলের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। এদিকে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেচের জল তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও জেলার অন্যান্য ব্লকেও চাষের জন্য জলসেচে সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

    এবিষয়ে বালুরঘাটের কুয়ারনের কৃষক ইলিয়াস সুরিন বলেন, পাম্পই এখন ভরসা। জলের অভাবে জমিতে পাট ও সব্জি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি।

    দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরের জলস্তরও অনেকটা নেমে গিয়েছে। এতে সমস্যা বাড়ছে মাছচাষিদেরও। 
  • Link to this news (বর্তমান)