বালাসনে হঠাৎ জলস্ফীতি, পর্যটকদের প্রাণ বাঁচালেন শিবমন্দিরের দুই যুবক
বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, বাগডোগরা: বাগডোগরার এমএম তারাইয়ে বালাসন নদীতে রবিবার হঠাৎই জলস্তর বৃদ্ধি পায়। এতে ভেঙে যায় বাঁশের সাঁকো। নদীর উল্টো পাড়ে আটকে পড়েন পিকনিক করতে আসা ১০-১২ জন যুবক যুবতী। পরবর্তীতে বাইকের সঙ্গে দড়ি বেঁধে ওই যুবক যুবতীদের কোনওক্রমে উদ্ধার করেন শিবমন্দিরের দুই যুবক।
কার্শিয়াং বনবিভাগের অধীন এই ইকো ট্যুরিজম স্পটের একপাশে রয়েছে পাহাড়, অন্যপাশে চা বাগান। মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালাসন নদী। ছুটির দিনগুলিতে শিলিগুড়ি, বাগডোগরা, মাটিগাড়া সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ ঘুরতে আসে এই ইকো ট্যুরিজম স্পটে। রবিবার দুপুরে পিকনিক স্পটের কোথাও রান্না হচ্ছিল, কোথাও খাওয়াদাওয়া চলছিল। গরমের হাত থেকে স্বস্তি পেতে হাঁটুর নীচে থাকা বালাসন নদীর ঠান্ডা জলে নেমে কেউ কেউ স্নান করছিলেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে অনেকেই নদী পেরিয়ে ওপারে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই মুহূর্তের মধ্যে হু হু করে নদীর জল বাড়তে শুরু করে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফলে স্রোতের তোড়ে ভেঙে যায় সাঁকোটি। এতে নদীর উল্টো পাড়ে আটকে পড়েন ১০-১২ জন যুবক যুবতী। দূর থেকে শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছিল তাঁদের। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা।
এদিকে, এমন পরিস্থিতি দেখে মাটিগাড়া ব্লকের শিবমন্দিরের বাসিন্দা রাজা রায় ও কিরণ সিংহ নামে দুই যুবক তাঁদের উদ্ধার কাজে নেমে পড়েন। তাঁরা নিজেদের বাইকের সঙ্গে দড়ি বেঁধে জলে নেমে উল্টোপারে আটকে পড়া যুবক যুবতীদের এক এক করে এপারে নিয়ে আসেন। যুবকদের এই সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পিকনিক স্পটে থাকা সকলেই।
এ বিষয়ে কার্শিয়াং বনবিভাগের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে কয়েকজন ওপারে চলে গিয়েছিলেন। নদীর জলস্ফীতিতে সঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তাঁরা আটকে পড়েছিলেন। নদীর ওপারে যাওয়া বা জলে নামা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিশুদের জল থেকে সাবধানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বনকর্মীদের টহলদারি বানানো হবে ও রেঞ্জ অফিসাররা গিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের এ ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। (- আটকে পড়াদের উদ্ধার করছেন রাজা, কিরণ। )