সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: জিনিসপত্রের দাম যাতে বৃদ্ধি না হয়, সে বিষয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশের পরেই বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শনে নামল টাস্কফোর্স। রবিবার দুপুরে ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা নিজেই পরিদর্শন নামেন। উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ির বিডিও সঞ্জয় প্রধান, ধূপগুড়ির সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন সহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা। মহকুমা শাসক ধূপগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটের পাইকারি বাজারে অভিযান চালানোর পর শহরের খুচরো বাজারে যান। সেখানে দুই বাজারের মধ্যে দামের ক্ষেত্রে অনেকটাই পার্থক্য সামনে আসে। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান টাস্কফোর্সের সদস্যরা। মাত্রাতিরিক্ত দাম না নেওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন মহকুমা শাসক।
কয়েকদিন আগে অভিযোগ উঠে ধূপগুড়ির বাজারে কম দামে সব্জি বিক্রি করতে হয় কৃষকদের। আর তার মুনাফা লোটে ফঁড়েরা। এদিনের পাইকারি বাজারে লাল ও সাদা আলুর দাম ১৩ টাকা ও ১০ টাকা প্রতি কেজি হলেও খুচরো বাজারে তার দাম ২০ টাকা ও ১৬ টাকা। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ১২ থেকে ১৫ টাকা প্রতি কেজি , ভেন্ডি ৫ টাকা প্রতি কেজি, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, রসুন, ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, করালা ১২-১৩ টাকা ও বাঁধাকপি ২০ টাকা প্রতি কেজি হলেও খুচরো বাজারে তার দাম পেঁয়াজ ২৫ টাকা, ভেন্ডি, ১৫ টাকা, বেগুন ৩০-৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, করলা ২০ টাকা ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা প্রতি কেজি। যদিও পাইকারি সব্জি বিক্রেতা সুজয় সরকার বলেন, অনেক সময় সব্জি নষ্ট হয়, তাই আমাদের বেশি দাম নিতে হয়। এদিন ধূপগুড়ির রেগুলেটেড মার্কেটে অভিযানের পাশাপাশি ডাউকিমারী বাজারেও অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে দাম আরও কম রয়েছে বলে প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, আমাদের এটা রুটিন পরিদর্শন। তবে সব্জি সব তাজা রয়েছে। আমাদের এই অভিযান নিয়মিত চলবে। - নিজস্ব চিত্র।