সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের আকাশে রহস্যজনক ড্রোনের সন্ধান মিলল। শনিবার রাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রাম থেকে ড্রোনটি উদ্ধার হয়। সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে সীমান্তবর্তী গ্রামে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় এক যুবকরা সেটি জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি ঘরে নিয়ে আসেন এক যুবক। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পুলিস খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
জঙ্গিপুরের পুলিস সুপার অমিতকুমার সাউ বলেন, ড্রোনটি বিএসএফ পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছে। সেটি কোথা থেকে কীভাবে সেখানে এল সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিস সুপার আরও বলেন, স্থানীয় এক যুবক ড্রোনটি তাঁর বলে দাবি করেছেন। ওই যুবকের ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের যাবতীয় রেকর্ড খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। এখনও পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় সামশেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর-বরোজডিহি গ্রামে কিছু যুবক মাঠ বসে গল্প করছিলেন। ভুট্টা খেতের পাশে একটি ড্রোন নজরে আসে তাঁদের। ড্রোনটি উন্নত প্রযুক্তির বলেই মনে করছে পুলিস। দীর্ঘক্ষণ ড্রোনটি কেউ নিতে না আসায় স্থানীয় যুবক সেটি বাড়িতে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে যায় পুলিস, বিএসএফ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা। নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য আনসারুল হোসেন বলেন, ৭১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ আধিকারিকরা এসে ড্রোনটি নিয়ে যান। দুর্গাপুর-বরোজডিহি বাংলার শেষ গ্রাম। এরপরই গঙ্গা বাংলাদেশে চলে গিয়েছে। নদীর পর বিস্তীর্ণ চরাভূমি। তারপর বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকা। ড্রোন উদ্ধার হওয়ার জায়গা থেকে কিছুটা দূরে নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্প। কিন্তু কীভাবে ড্রোনটি বরোজডিহি গ্রামে এসে পৌঁছল তা নিয়ে ধন্দে সকলেই।
ড্রোনটি স্থানীয় এক যুবকের বলে দাবি করেছেন কয়েকজন। ওই যুবক ছবি ও ভিডিও তোলেন। ড্রোনটি উড়ে গিয়ে ভুট্টা খেতে পড়ায় সেটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর সেটি খুঁজে পাননি ওই যুবক। ড্রোনটি বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এসে কন্ট্রোল হারিয়ে যাওয়ায় পড়ে গিয়েছে কি না, বা রাতে গোপনে চরবৃত্তির জন্য ড্রোনটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র