পুরুলিয়ার পর্যটনের বিকাশে গৃহীত বহু পরিকল্পনারই বাস্তবায়ন ঘটেনি
বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: পুরুলিয়াকে রাজ্যর পর্যটন মানচিত্রে আকর্ষণীয় করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য। তবে সেইসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি আজও।বাড়েনি পুরুলিয়া যাওয়ার ট্রেনের সংখ্যাও। পাহাড়, জঙ্গলের টানে কমবেশি সারা বছরই এখন পুরুলিয়া ভ্রমণপিপাসুদের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু পর্যটকদের আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে বিস্তর।
২০১৬ সালের আগস্টে তত্কালীন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব পুরুলিয়া এসেছিলেন। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পুরুলিয়ার সৌন্দর্য পর্যটকদের সামনে আরও ভালো ভাবেতুলে ধরতেপুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে রোপওয়ে চালু হবে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, অযোধ্যা পাহাড়ের নীচের জলাধারের সামনে থেকে রোপওয়ে চালু হবে। শেষ হবে আপার ড্যামে গিয়ে। প্রকল্পের জন্য ১০কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছিল। অযোধ্যার পাশাপাশি বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরেও রোপওয়ে চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। এরফলে পর্যটনকেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়বে, পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির হাল ফিরবে বলে ভাবা হয়েছিল।কিন্তু সে সবভাবনার স্তরেই রয়ে গিয়েছেআজও। তাছাড়া, পুরুলিয়ায় বেড়াতে এসে কোথায় কী দেখার আছে, কোন পথে যেতে হবে, কোথায় থাকার জায়গা পাওয়া যাবে, এইসমস্ত প্রশ্নে মুশকিলে পড়েন পর্যটকরা। তাই পর্যটকদের সুবিধার্থে পুরুলিয়া স্টেশনে একটি ট্যুরিজম ইনফরমেশন সেন্টার চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে পর্যটকদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার চালু হবে বলেও প্রতিশ্রুতি মিলেছিল।পাশাপাশি, সেচদপ্তরের অধীনে যত ড্যাম আছে, সেগুলিতে বোটিং চালুরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কথা ছিল, অযোধ্যা পাহাড়ে ওঠার চারটি রাস্তাতেই প্রবেশ দ্বার বসানো হবে। সেসবের কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি আজও। অযোধ্যা পাহাড়ের একটি অতিথি আবাসের মালিক তথা পুরুলিয়া ডিস্ট্রিক্ট হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহিত লাটা বলেন, ‘অনেক পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছিল। পুরুলিয়ার পর্যটনকে মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে আমরাও সংগঠনের তরফে প্রশাসনকে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রশাসন এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করে দ্রুত পদক্ষেপ করুক।’
প্রশাসনসূত্রের খবর, বছরে গড়ে ছ’লক্ষের বেশি পর্যটক আসেন জেলায়। কিন্তু পুরুলিয়ায় আসার ট্রেনের সংখ্যা হাতেগোনা। সেই ট্রেনগুলিও সময়ে পৌঁছয় না।শিয়ালদহ থেকে সরাসরি পুরুলিয়ায় আসার আজও কোনও ট্রেন নেই। আদ্রা ডিভিশন প্যাসেঞ্জার অ্যাসিস্ট কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কৌশিক সরকার বলেন, পুরুলিয়াবাসী হিসাবে এটা অত্যন্ত আক্ষেপের।