• নাসিক থেকে আসা কাঁচা হলুদের লরিতে উদ্ধার ২৩২ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার চালক
    বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামের পুলিস মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে আসা কাঁচা হলুদ ভর্তি লরি থেকে ২৩২ কেজি ১৪০ গ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে। শনিবার রাতে কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়কের নেতুড়ায় লরিটি আটক করা হয়। লরির চালক দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা রমেন সিংকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার উপর দিয়ে কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়ক চলে গিয়েছে। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম পথ ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিনের অভিযোগ এই সড়কটি এখন মাদক দ্রব্য পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে। জেলার সীমানা লাগোয়া চেকপোস্টে পাচার করা  বালি, মাটি, গোরু, মোষ থেকে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। জেলা পুলিসের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  জঙ্গল সংলগ্ন গ্ৰামীণ পথে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। পাচার চক্রের দলও পুলিসের চোখে ধুলো দিতে নানা কৌশলও নিচ্ছে। 

    জাতীয় সড়কে এক মাস আগেই ১১ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে দু’জনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া বেলপাহাড়ী থানার  সান্দাপাড়া থেকে ১৫ কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তকারী দলের অফিসারদের বক্তব্য, গত দেড় বছরের মধ্যে এত পরিমাণ গাঁজা জেলায় উদ্ধার হয়নি।  ঝাড়গ্রাম পুলিসের বিশেষ টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে অভিযান চালায়। লরির পিছনে কাঁচা হলুদ বোঝাই ছিল। কেবিনের ভিতর ও লরির মাথায় ১৩টি প্লাস্টিকে গাঁজা রাখা ছিল। বাজেয়াপ্ত গাঁজার বর্তমান বাজার মূল ১৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। 

    রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম এসডিপিও অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে এসডিপিও শামীম বিশ্বাস, সাইবার ক্রাইম বিভাগের আধিকারিক সব্যসাচী ঘোষ অন্যান্য তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত ছিলেন। এসডিপিও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় নিষিদ্ধ মাদক ভর্তি একটি লরির জাতীয় সড়ক দিয়ে আসার খবর পুলিসের কাছে আসে। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিস অফিসারদের সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ন’টার সময় নেতুড়া এলাকায় লরিটিকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে কেবিনের ভিতর ও উপর থেকে গাঁজা ভর্তি ১৩টি প্লাস্টিক পাওয়া যায়। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর থেকে প্যাকেটভর্তি গাঁজা লরিতে তোলা হয়েছিল। কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা জানা যায়নি। তদন্তকারী দলের এক অফিসার বলেন, নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য পাচারের জন্য পাচারকারীরা নানা ধরনের কৌশল নিচ্ছে। জেলার জাতীয় সড়ক ও অন্য পথগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। গাঁজা পাচারের কারবারে যুক্ত  কয়েকজনক আগেই জেলা পুলিসের হাতে এসেছে । আন্তঃরাজ্য একটি চক্র গাঁজা পাচারের কারবার যুক্ত। চক্রের মূল মাথাদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। ( ধৃত লরির চালক। নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)