সাইবার অপরাধের পর্দা ফাঁস, প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ফেরাল হুগলি গ্রামীণ পুলিস
বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার সাইবার জালিয়াতির তদন্তে রহস্যভেদ করল হুগলি গ্রামীণ জেলার পুলিস। সাইবার শাখার তৎপরতায় ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সাম্প্রতিককালে এই বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে বড়সড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে গ্রামীণ পুলিস। পাশাপাশি, এই ঘটনায় একাধিক সাইবার অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রামীণ পুলিসের দাবি, দ্রুত গোটা চক্রকেই ধরে ফেলা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে বাকি টাকা উদ্ধারের প্রয়াসও শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইবার জালিয়াতরা মগরার একটি অটোমোবাইল কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে বিশেষ কায়দায় ২৬ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা গায়েব করে দিয়েছিল। গত মার্চ মাসের শেষদিকে ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরেই গ্রামীণ পুলিসের সাইবার শাখা এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। দেখা যায়, ওই কোম্পানির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে মূলত টাকা গায়েব হয়েছে। কয়েক দফায় সেখান থেকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একটি বিশেষ দল গঠন করে সাইবার থানার পুলিস বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করতে শুরু করে। তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, টাকা ট্রান্সফারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিল সাইবার প্রতারকরা। এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল কোম্পানির ডিজিটাল লেটারহেড। এক পুলিস কর্তা জানিয়েছেন, এমনভাবে টাকা হাতানো হয়েছিল যে, বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। বিষয়টি এমন ছিল যে, কোম্পানির কেউ যেন কাউকে টাকা ট্রান্সফার করেছে। অথচ কোম্পানি আদতে কাউকে টাকাই দেয়নি। এ বিষয়ে কোম্পানির নথি থেকে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। এরপর যেখানে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টের গতিবিধি যাচাই করতে শুরু করে পুলিস। তখনই প্রতারণার জাল স্পষ্ট হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছে পুলিস।
পুলিস কর্তাদের দাবি, বাকি টাকাও ফেরানো হবে। সেইসঙ্গে সাইবার অপরাধীদের সবাইকেই ধরা হবে। টাকা ফেরত পেয়ে পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কোম্পানির কর্তারা। সংস্থার এক কর্তা বলেন, আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিস খুব ভালো কাজ করেছে।