যুদ্ধ মানে ধ্বংস, শান্তি হল দেশের উন্নতি: বিমান বসু
বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই সংঘর্ষ বিরতির পথ বেছে নিয়েছে। এমন সময় রাজ্যের বামদলগুলি শান্তির পক্ষে মিছিলের ডাক দিয়েছে। আর এতেই সাধারণ মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাম কর্মী-সমর্থকদের একাংশ মনে করছেন, সংঘর্ষ বিরতির পরেও পাকিস্তান ভারতের উপর আক্রমণ করেছে। তাই এখনই মিছিল ডাকার সঠিক সময় নয়। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সংঘর্ষ বিরতির পর আক্রমণ করে পাকিস্তান অন্যায় করেছে। পাকিস্তান এসব জিইয়ে রাখতে চায়।’
এইসময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যের তথা দেশের মানুষ কাশ্মীরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফুঁসছেন। এমন সময় যুদ্ধ-উন্মাদনা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে মঙ্গলবার বিকেলে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এক তরুণ বাম নেতার কথায়, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, মিছিল ডাকার সময়টা ঠিক নয়।’ বামফ্রন্টের দলগুলি ছাড়াও এই মিছিলে যোগ দেবে এসইউসি, সিপিআই(এমএল)। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু বলেন, ‘পহেলগাঁওতে সেদিন অত পর্যটক গিয়েছিলেন। সেখানে নিরাপত্তা ছিল না কেন? কীভাবে জঙ্গিরা ওই এলাকায় প্রবেশ করল? এর জবাব কে দেবে? আমরা বলছি, যুদ্ধ মানে ধ্বংস। আমরা বলছি, কাশ্মীরজুড়ে সন্ত্রাসবাসী হামলায় মদত দিচ্ছ কেন, পাক সরকার জবাব দাও। এর দায় পাকিস্তানকে নিতে হবে।’ সিপিআই নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যুদ্ধ মানে দেশের অর্থনীতির উপর আরও চাপ বাড়বে।’
বিমানবাবু আরও বলেন, ‘১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ভঙ্গ করে ট্রাম্পের ডাকে বিরতি কেন হল? এর উত্তর মোদি সরকারকে দিতে হবে। শান্তি চাওয়া মানে দেশের উন্নতি। মনে রাখতে হবে, দুটোই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আমরা তো বিরতি ঘোষণার পরেই মিছিল ডেকেছি।’ এসইউসি সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ দুই দেশের মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।