১৫ দিন টানা নজরদারি নিউ মার্কেটে, সন্ধ্যা পর্যন্ত মজুত থাকবে ডাম্পার
বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিউ মার্কেটে যত্রতত্র বিশেষ করে পিচ রাস্তার উপর বেআইনি হকারদের বসে পড়া রুখতে আগামী ১৫ দিন টানা নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিউ মার্কেটের বিভিন্ন রাস্তায় পুরকর্মীরা মোতায়েন থাকছেন। রাখা হচ্ছে ডাম্পারও। কেউ রাস্তায় পসরা নিয়ে বসলেই তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি, পুলিসও যেন নিয়মিত নজরদারি চালায়, তার জন্য নিউ মার্কেট থানার কাছে আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পুরসভা।
সম্প্রতি, টাউন ভেন্ডিং কমিটির (টিভিসি) সিদ্ধান্ত অনুসারে, নিউ মার্কেট জুড়ে বিভিন্ন পিচ রাস্তার দখল নেওয়া বেআইনি হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। রীতিমতো বুলডোজার নিয়ে যৌথ হানা দিয়েছিল পুরসভা, টিভিসি ও পুলিস। যদিও, মাইকিং করে হকারদের বুঝিয়ে সরানো হয়। বুলডোজারের ব্যবহার কিংবা বলপূর্বক কাউকে উচ্ছেদ করতে হয়নি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কলকাতা পুরসভার সচিব স্বপনকুমার কুণ্ডু, কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদ মর্যাদার ও নিউ মার্কেট থানার ওসি। ছিলেন টিভিসির সদস্য শক্তিমান ঘোষ। বিরাট পুলিস বাহিনীর পাশাপাশি পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক-কর্মীরাও ছিলেন। ডাম্পার, বুলডোজার, ইলেকট্রিক কাটার, শাবল, কাটারি নিয়ে চলে হানা। হুমায়ুন প্লেস, চৌরঙ্গী প্লেস, বারট্রাম স্ট্রিট, জওহরলাল নেহরু রোড সহ নিউ মার্কেটের সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলে। মাইকিং করে সাবধান করা হয় হকারদের। বেআইনি কাঠামো খুলে ফেলতে বলা হয়। নির্দেশ মতো সকল হকাররাই সেই কাজ করেন। তারপরেই নিউ মার্কেটের ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। রাস্তায় হাঁটার সুযোগ মিলছে। গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা হয়েছে। সেই ছবি যাতে বছরভর রাখতে বদ্ধপরিকর পুরসভা।
টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য এক পুরকর্তা বলেন, একদিন অভিযান চালিয়ে কিছু হবে না। পরে আবার পসরা সাজিয়ে বসে পড়বে। তাই, ঠিক হয়েছে, বেলা ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা-ছ’টা পর্যন্ত পুরকর্মীরা ময়দানে থাকবেন। কেউ বসলেই তাঁর জিনিসপত্র ডাম্পারে তুলে নেওয়া হবে। পুলিসও সর্বক্ষণ থাকছে। নিউ মার্কেট থানার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
টিভিসির সদস্য শক্তিমান ঘোষ বলেন, আমাদের কমিটিতে গত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বেআইনি হকারদের উচ্ছেদ করা হবে। যাঁরা পিচ রাস্তা দখল করে বসবেন, তাঁরা বেআইনি হকার। তাঁদের রেয়াত করা হবে না। আমরা তাঁদের সতর্ক করে তুলে দিয়েছি। যাঁরা কাঠামো বেঁধেছেন, তাঁদের খোলানো হয়েছে। রাস্তা খালি রাখতে হবে। ফের রাস্তা দখল করে বসলে মাল বাজেয়াপ্ত করা হবে। আমরা এবার দোকান, ডালা সমেত তুলে নেব।