• ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে এটিএম থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলাবাজি, ধৃত ২ মহিলা
    বর্তমান | ১২ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক ব্যবসায়ীকে জোর করে আটকে তাঁর এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোনাগাছিতে। জায়গাটি বড়তলা থানার অধীন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই মহিলাকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এক্ষেত্রে পুলিস তোলাবাজির মামলা রুজু না করে চুরির মামলা করল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফারাক্কার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী কলকাতায় কাজে এসেছিলেন। কাজ শেষ হওয়ার পর তিনি ২৫ এপ্রিল সোনাগাছি এলাকায় আসেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, কয়েকজন দালালের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা হয়। এরপর একজনের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই মহিলা ছিল। সেখানে তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয় ওই দুই মহিলা। এরপর বলা হয় নগদ দিতে। তিনি জানান, তাঁর কাছ নগদ টাকা বেশি নেই। তখন দুই মহিলা তাঁকে বলে, অসুবিধা নেই, তাদের ই-ওয়ালেটে টাকা ট্রান্সফার করে দিলেই হবে। ব্যবসায়ী ই-ওয়ালেট না থাকার কথা জানালে তাঁর মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে এটিএম কার্ড বের করে নেয় তারা। ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁকে বাধ্য করা হয় পাসওয়ার্ড বলতে। এরপর কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে অভিযুক্তরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিস চুরির মামলা রুজু করে।

    তদন্তে নেমে ওই ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টের ডিটেইলস ব্যাঙ্ক থেকে জোগাড় করেন অফিসাররা। কোন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে, সেই তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। দেখা যায়, রিঙ্কি ধাড়া ও রাখী দাস নামের দুই মহিলার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢুকেছে। তার ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে বড়তলা থানা। ধৃত মহিলারা পুলিসকে জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী খরিদ্দার হিসেবে এসেছিলেন। দর কষাকষির সময় গোলমাল হয়। এরপর তাঁকে আটকে রেখে ফান্ড ট্রান্সফার করা হয়।

    একজনকে জোর করে আটকে এটিএম কার্ড কেড়ে নিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার পরেও কেন চুরির ধারায় মামলা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে নতুন আইন অনুযায়ী তোলাবাজি ও জোর করে আটকে রাখার মতো ধারা দেওয়া যেতে পারত। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই ব্যবসায়ী অভিযোগপত্রে যা লিখেছেন, তার ভিত্তিতে কেস রুজু হয়েছে। তবে বড়তলা থানা এলাকায় এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এর পিছনে একটি চক্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই দুই মহিলা এই চক্রের সদস্যা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)