• সেনার আদলে পোশাক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, ধাক্কা খেলেও সমথর্ন ক্রেতা-বিক্রেতাদের
    এই সময় | ১২ মে ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার আদলে পোশাক বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের বিভিন্ন মহকুমায় পুলিশ অভিযানেও নেমেছে৷ কোচবিহার শহর ছাড়াও তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা–সহ বিভিন্ন এলাকায় জামাকাপড় বিক্রির দোকানে অভিযান হয়েছে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে, যাতে এ ধরনের পোশাক কেউ বিক্রি না করেন৷

    জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোচবিহার পুলিশ এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে৷’

    বরাবর সেনার আদলে পোষাক বিক্রির চল ছিল কোচবিহারের বাজারগুলিতে৷ এ ধরনের সেনার পোশাক পরা ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে ট্রেন্ডিং। টি শার্ট, কার্গো, জগারস প্যান্টের ব্যাপক চাহিদা ছিল। তবে এইরকম পোশাক বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে ক্রেতা–বিক্রেতাকে৷ কোচবিহার শহরের বাসিন্দা সমীর দেব বলেন, ‘এই পোশাক পরা যথেষ্টই স্বাছন্দ্যের ছিল।

    তবে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির পোশাক সংগ্রহে থাকলেও তা আপাতত নিষেধাজ্ঞার জেরে বাইরে পরে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷’ কোচবিহার শহরের অপর এক বাসিন্দা সুবীর রায় বলেন, ‘কেনা পোশাকগুলি আপাতত পরতে পারব না এটা ঠিকই, তবে দেশের স্বার্থে যখন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তখন তা মানতেই হবে।’

    কোচবিহার শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার তো বটেই শহরতলি লাগোয়া ও মহকুমার বাজারগুলিতেও দেদারে বিক্রি হতো এ ধরনের পোশাক। কোচবিহারের কাপড় ব্যবসায়ী সন্দীপ রায় বলেন, ‘সেনার আদলে পোশাকের চাহিদা থাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর পর ব্যবসায়ীরা এগুলি প্রচুর স্টক করেছিলেন। তবে লোকসান হলেও এই পোশাক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি৷’

    কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজ ঘোষ বলেন, ‘পুলিশের নির্দেশমতো ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে৷’ কোচবিহার পুলিশ জানিয়েছে, কোনও দোকানে যাতে সেনার আদলে পোশাক বিক্রি না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)