এই সময়: একজন পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক, অন্যজন ওঝা আর তৃতীয়জন গাড়ির চালক। দেখতে গোবেচারা হলেও নিয়মিত ইন্টারন্যাশনাল কল করতেন ওরা। কখনও আবার বিদেশ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ফোন আসত। শুধু তাই নয়, মোবাইলে আসত সাংকেতিক ভাষায় এসএমএস।
ওই তিনজনকে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। ওই সাংকেতিক এসএমএস–এ তাঁদের কী বার্তা দেওয়া হতো? ইন্টারন্যাশনাল কলগুলি কারা করত? কী নির্দেশ আসত বিদেশ থেকে? এ সব বিষয় তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।
বীরভূম থেকে আজমল হুসেন এবং সাহেব আলি খানকে গ্রেপ্তারের পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে পাকড়াও করে এসটিএফ। আজমলের মতোই আব্বাসউদ্দিনের গতিবিধিও সন্দেহজনক। ওই ব্যক্তি এলাকায় সকলের সঙ্গে কথা বলতেন না। অপরিচিতরা তাঁর বাড়িতে আসতেন।
ওঝা হিসেবে এলাকায় আব্বাসের নামডাক ছিল। সেই সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতও করতেন তিনি। বাজেয়াপ্ত মোবাইল থেকে সন্দেহজনক ফোন কল এবং সাংকেতিক এসএমএস পাওয়া গিয়েছে। তা পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
বীরভূমের নলহাটির আজমলের গতিবিধিও এমনই সন্দেহজনক ছিল। ইতিহাসে স্নাতক হয়ে হাতুড়ে চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে আব্বাসের মতো বিভিন্ন জায়গায় যেতেন তিনি। এদের সাহায্য করতেন গাড়ির চালক সাহেব আলি খান। সূত্রের খবর, আব্বাসউদ্দিন মোল্লা ডায়মন্ড হারবার থানার পাতড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী এবং ছেলে রয়েছে পরিবারে।
কাকিমা সালেমা বিবি বলেন, ‘আব্বাস জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। মসজিদে নমাজ পড়ার পাশাপাশি তাবিজ তৈরি করতো সে। আমরা কোনও দিন খারাপ কিছু দেখিনি।’