১৯ দিন ধরে পাকিস্তানের হাতে বন্দি! পূর্ণমের স্ত্রীর সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর, এক সপ্তাহের মধ্যে ঘরে ফেরানোর আশ্বাস
আনন্দবাজার | ১২ মে ২০২৫
গত ১৯ দিন ধরে পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ! সেই আবহেই জওয়ানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউয়ের সঙ্গে কথা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রজনী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণমকে ফেরানো হবে। যদিও এখনই উৎকণ্ঠা কাটছে না রিষড়ার সাউ পরিবারের।
রবিবার রজনী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসবেন পূর্ণম| আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। পরিবারে কে কে আছেন, সে সবও জানতে চেয়েছেন। পরিবারের পাশে থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এখন আমি এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছি।’’ সোমবার বৈঠক রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবারের বৈঠকে পূর্ণমের ফেরা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তার আগে পূর্ণমকে ফেরাতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর। এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণমকে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পূর্ণমের স্ত্রী ও বাবা-মায়ের যে কোনও রকম চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য।
গত ২৩ এপ্রিল ফিরোজ়পুর বর্ডারে ডিউটি করার সময় পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি হন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। ভুল করে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ঢুকে একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় সে দেশের রেঞ্জার্স পূর্ণমকে বন্দি করে। তার পর থেকেই হুগলির রিষড়ার সুশীলাচন্দ্র আওয়ান রোডের বাড়িতে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ। জওয়ানের স্ত্রী রজনী অন্তঃসত্ত্বা, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এ দিকে পূর্ণমের নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এত দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে, কিন্তু এখনও ছাড়া পাননি। মাঝে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকেও বসেছে বিএসএফ। তবে সমাধানসূত্র মেলেনি। সেই আবহে পূর্ণমকে ঘরে ফেরানোর আশায় গত ২৮ এপ্রিল রজনী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা রওনা দিয়েছিলেন পঞ্জাবে। তার আগে বিএসএফ আধিকারিকেরা পূর্ণমের রিষড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। পূর্ণমের স্ত্রী জানিয়েছেন, বিএসএফ আধিকারিকেরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছেন তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য। পরিবারকেও মানসিক ভাবে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন বিএসএফ আধিকারিকেরা। অন্য দিকে, পূর্ণমদের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহও। সেখানে তিনি জওয়ানের বাবা ভোলানাথ সাউকে ফোনে কথা বলিয়ে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।