সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত-বিরোধী পোস্ট করায় এক যুবককে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকায়। পরে ওই যুবককে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ধৃতের নাম ইমরান শেখ ওরফে সম্রাট, বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কিন্তু ওই যুবকের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে জানানো উচিত। এই ভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া আদৌ উচিত হয়নি। ধৃতকে আজ সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে দশ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের চাঁদপাড়া রঘুনাথগঞ্জ এলাকা থেকে ফেরিওয়ালার কাজ নিয়ে দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকায় আসেন সম্রাট ও তাঁর এক সঙ্গী। অভিযোগ, সম্রাট পাকিস্তানকে সমর্থন করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নানা রকমের ছবি ও লেখা পোস্ট করেন। এমনকী বেশ কিছু ভারত বিরোধী মন্তব্যও পোস্ট করা হয় ওই অ্যাকাউন্ট থেকে।
বিষয়টি নজরে আসতেই রবিবার সন্ধ্যায় ইমরান শেখ ওরফে সম্রাটকে পাকিস্তানের পতাকার উপর দাঁড় করিয়ে কান ধরে ওঠবোস করান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এর পর ওই যুবককে তুলে দেওয়া হয় বড়জোড়া থানার পুলিশের হাতে। ধৃত যুবক সামাজিক মাধ্যমে কেন পাকিস্তানের পক্ষে জয়গান দিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পহেলগাম হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিধানসভার গেটের বাইরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর এই কাজকে আদৌ সমর্থন করেননি বিজেপির আর এক নেতা দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির বাঁকুড়া পঞ্চায়েতের সদস্য গোবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘গতকাল আমরা জানতে পারি মুর্শিদাবাদের দুই যুবক বড়জোড়ায় কাজ করতে এসে ভারত বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষে নানা রকম পোস্ট করছে। আমরা দুই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।’