• বকুল-ছাতিম- কৃষ্ণচূড়া!গ্রামের স্বাদ কলকাতায়! আরও সবুজ নিউটাউন, কী কী পরিকল্পনা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ মে ২০২৫
  • মাথার উপর গনগন করছে সূর্য। দুপুরে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। চারদিকে কংক্রিটের জঙ্গল। গাছের ছায়া খুঁজছে ক্লান্ত শরীর। তবে গাছ কোথায়? চারদিকেই তো খালি বিল্ডিং আর বিল্ডিং। তবে ছবিটা কিছুটা হলেও বদলে যেতে পারে কলকাতার নিউটাউনে। তার প্রস্তুতিও চলছে।

    টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, নিউ টাউন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবার নিউটাউন জুড়ে বনসৃজনের পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রায় ৫০,০০০ গাছ বসানো হবে। তবে তার আগে মাটির পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে। সেই মাটির গুণাগুন পরীক্ষা করেই গাছ বসানো হবে নিউটাউন জুড়ে।

    ফুল হয় এমন গাছও বসানো হবে নিউটাউন জুড়ে। তবে একেবারে রাস্তার ধারে খুব ছোট গাছ এমনটা নয়। মোটামুটি ১৫ ফুট লম্বা হতে পারে এমন গাছ বসানো হবে নিউটাউনে।

    রাস্তার ধারে, খালি জায়গায় এই ধরনের গাছ বসানো হবে।

    যে যে গাছগুলি বাছা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল বকুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কাসিয়া, বিলাতি জারুল, অশোক, কদম, জংলিবাদাম, শিমূল, করঞ্জ, ছাতিম, শিরীষ, অর্জুন, স্বর্ণচম্পা, মেহগিনির মতো গাছ বসানো হবে নিউটাউন এলাকায়।

    তবে যেমন তেমন করে চারা বসিয়ে চলে গেলে হবে না। এনিয়ে এনকেডিএ নির্দিষ্ট নিয়ম জানিয়ে দিয়েছে। ২ ফুট করে গর্ত খুঁড়তে হবে। সেই মতো সেখানে গাছের চারা বসানো হবে। এরপর সেই গর্তে সার মেশাতে হবে। তার উপর গাছ বসাতে হবে।

    এই গাছ বসানোর জন্য নির্দিষ্ট এজেন্সি নিয়োগ করা হচ্ছে। তারা এই গাছ বসানোর কাজ করবে। মাস খানেকের মধ্যে এই গাছ বসানোর কাজ করবে। পরবর্তীতে তারা মোটামুটি তিন মাস ধরে সেই গাছ পরিচর্যা করা হবে। বাঁশ দিয়ে চারাগুলিকে সাপোর্ট দেওয়া হবে। মূলত চারাগুলি যাতে ঠিকঠাকভাবে বেঁচে থাকে তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    এমনকী এনকেডিএ মূল রাস্তার পাশে নারকেল, তাল, চেরি ব্লসমের মতো গাছ বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। মূলত এই গাছ গুলির ক্ষেত্রে বিশেষ আড়াল হয় না। সেকারণে এই উদ্যোগ।

    তবে পরিবেশপ্রেমীদের মতে, কেবলমাত্র গাছ বসালেই হবে না। গাছ যাতে বেঁচে থাকে তার ব্যবস্থাও করতে হবে। কারণ গাছ বসানো হল আর তা মরে গেল এটা কোনওভাবেই নয়। প্রচন্ড গরমে গাছ যাতে মরে না যায় সেটা দেখাটাও অত্যন্ত জরুরী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)